WB Corona Update: ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা?
Covid19 Situation: ২০২০ থেকে ২০২২, দু’বছর ধরে করোনার ভয়ঙ্কর তাণ্ডবলীলার সাক্ষী থেকেছে গোটা বিশ্ব। বছর তিনেক পর ফের করোনার ভ্রুকুটি।

কলকাতা: এক দিনে রাজ্য়ে একাধিক করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল। কাঁকুরগাছির নার্সিংহোমে, করোনা আক্রান্ত (Corona Update) এক প্রসূতি, তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। কোভিড আক্রান্ত আরেক কিশোর ভর্তি বাইপাসের ধারের হাসপাতালে। গোটা দেশেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। দিল্লি, মুম্বইয়ে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। চিকিৎসকরা বলছেন, উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো নয়, তবে অবহেলাও নয়।
চোখ রাঙাচ্ছে করোনা: ২০২০ থেকে ২০২২, দু’বছর ধরে করোনার ভয়ঙ্কর তাণ্ডবলীলার সাক্ষী থেকেছে গোটা বিশ্ব। বছর তিনেক পর ফের করোনার ভ্রুকুটি। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের মতো জায়গায় গত কয়েকদিন ধরেই করোনার সংক্রমণ বাড়ছিল। ভারতেও করোনার সংক্রমণের হারে বৃদ্ধি ধরা পড়ল। এবার রাজ্যেও একদিনে একাধিক করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল। এই অবস্থায় কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা?
চিকিৎসক অজয় সরকার বলেন, "ভাবার একটু দরকার আছে। কিন্তু প্যানিক করার কোনও দরকার নেই। দুজন মারা গিয়েছেন। তার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা নেই। অতএব এটা দেখে প্যানিক করার কোনও দরকার নেই। এটা থাকবে, বছরে বছরে ঘুরে আসবে। ভ্যাকসিন নিলে আরওই ভয়ের কারণ নেই।'' চিকিৎসক কুণাল সরকারের পরামর্শ, "শেষবার ওমিক্রন। বর্তমানে যে প্রজাতির প্রকোপ - JN.1-সংক্রমণের হার বেশি। লাংসে ক্ষতি করছে না। কোভিড ভ্য়াকসিনের প্রভাব কমে গেছে। আবার ভ্য়াকসিনেশনহলে ভাল হয়। এটাকে হালকাভাবে না নিলেই ভাল।'' চিকিৎসক সৌতিক পাণ্ডা জানিয়েছেন, "আমাদের নিজেদের ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। কোভিড অ্য়াপ্রোপ্রিয়েট বিহেভিয়ার, সেটাতে ফিরে যেতে হবে।''
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ওমিক্রনের উপপ্রজাতি JN ডট ওয়ানে সংক্রমণের হার খুব বেশি। কলকাতার কাঁকুরগাছির একটি নার্সিংহোমে, এক প্রসূতির করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। সুস্থ আছে সদ্য়োজাত। করোনা আক্রান্ত বছর ১৫-র এক কিশোরও। বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে সে। অন্য়দিকে, মগরাহাটে ২ কোভিড আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। ১ মহিলা ও এক বালকের কোভিড পজিটিভ। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, চলতি মাসের গোড়ায় আলিপুরের উডল্যান্ডস হাসপাতালে এক মহিলা শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন। পরীক্ষা করে জানা যায় তিনি কোভিড পজিটিভ। আইসোলেশনে এক সপ্তাহ রেখে ওই করোনা আক্রান্তকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রে ২ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। বেঙ্গালোরেও মৃত্যু হয়েছে এক করোনা আক্রান্তের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, দেশে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা ২৫৭। দিল্লি, মুম্বইয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের থানেতে ১০ জন কোভিড আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশ এইমস-এ তিনজন করোনা রোগীর পজিটিভ পাওয়া গেছে। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার ইতিমধ্যেই সতর্কতামূলক গাইডলাইন জারি করেছে।






















