CV Ananda Bose: সরকার ব্যর্থ হলে সংবিধান তার ভূমিকা পালন করবে: রাজ্যপাল
Sandeshkhali Raid: সন্দেশখালিতে ইডি, সংবাদমাধ্যমের উপর হামলার ঘটনায় কড়া বার্তা রাজ্যপালের।
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও রুমা পাল, কলকাতা: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Raid) ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় কড়া সমালোচনা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose)। সরকারকে রাজধর্ম পালনের পরামর্শ দিলেন রাজ্যপাল (WB Governor)। পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্য পুলিশকেও।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, 'সরকারকে রাজধর্ম পালন করতেই হবে। উটপাখির মতো মুখ গুঁজে থাকা আচরণ করা চলবে না পুলিশের, বাস্তবটাকে না দেখা, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি থেকে চোখ ফিরিয়ে থাকা চলবে না।' আইন-শৃঙ্খলার অবনতির ঘটনায় চোখ ফিরিয়ে না থাকার জন্য পুলিশকে বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল।
এদিন সকালে রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) তদন্তে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে হানা দেওয়ার সময়হামলার শিকার ইডি আধিকারিকরা। মারধর করে ফাটিয়ে দেওয়া হয় মাথা। কোনওক্রমে গাড়ি ধরে এলাকায় ছেড়ে পালাতে হয় ইডি আধিকারিকদের। ভাঙচুর করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি। মারধর করা হয় সাংবাদিকদেরও। মাটিতে ফেলে মারধর, কিল, চড়, ঘুষি বাদ যায়নি কিছুই। এই ঘটনার জেরেই রাজ্য সরকার এবং পুলিশ-প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল।
এদিন সিভি আনন্দ বোস বলেছেন, 'উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) সন্দেশখালি থেকে যে মর্মান্তিক ঘটনার খবর আসছে তা খুবই শঙ্কার এবং শোচনীয়। এটা যে কোনও সভ্য সরকারের বাধ্যবাধকতা ও কর্তব্য, গণতন্ত্রে বর্বরতা এবং ধ্বংসাত্মক আচরণ বন্ধ করা। যদি সরকার তার মৌলিক কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভারতের সংবিধান অবশ্যই তার ভূমিকা পালন করবে। রাজ্যপাল হিসেবে সাংবিধানিক সব দিক খতিয়ে দেখে আমি সঠিক সময়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেব।'
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস পেশাগত জীবনে IAS অফিসার ছিলেন। তিনি এদিন পুলিশকে তাদের ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। তাঁর মন্তব্য, 'নমনীয় মনোভাব এবং কাগুজে বাঘের ভূমিকা নিয়ে বাংলার মানুষের স্বার্থে কাজ করা যাবে না। যারা জঙ্গলরাজ কায়েম করছেন এবং গুন্ডাগিরি করছেন, তারা মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন। বাংলা 'ব্যানানা রিপাবলিক' নয়। সরকারকে রাজধর্ম পালন করতেই হবে। যাঁরা মনে করছেন, গুন্ডাদের দিয়ে শাসন করবেন, তাঁদের শীঘ্রই চিহ্নিত করা হবে। যে ভোট পূর্ববর্তী সন্ত্রাস শুরু হয়েছে, তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে এবং তা শীঘ্রই শেষ করতে হবে। এর একমাত্র দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। কারণ, সাধারণ মানুষ সরকারের ওপর ভরসা করে। সরকারকে এখন সক্রিয় হতে হবে। চোখ খুলে বাস্তবটা দেখতে হবে এবং পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে সক্রিয় পদক্ষেপ করতে হবে।'
রাজভবন সূত্রে খবর, সন্দেশখালির ঘটনায় মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য পুলিশের DG-কে তলব করেছেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: 'রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পরিস্থিতি', সন্দেশখালির ঘটনায় তোপ সুকান্তর