Sandeshkhali ED Raid: 'রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পরিস্থিতি', সন্দেশখালির ঘটনায় তোপ সুকান্তর
Ration Scam:তীব্র নিন্দা করে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
কলকাতা: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) তদন্তে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়ে রক্তাক্ত হয়েছেন ইডি আধিকারিকরা, মার খেয়েছেন কেন্দ্রীয় জওয়ান থেকে শুরু সাংবাদিকরাও। কাঠগড়ায় জেলার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অনুগামীরা। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে বিজেপি (BJP)। তিনি বলেছেন, 'রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির মতো পরিস্থিতি, অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছি। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে শায়েস্তা করে ছাড়ব।' এই ঘটনার কথা তুলে লোকসভা ভোটে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার দাবি তুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
সন্দেশখালির ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিশানা করেছেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি। তাঁর অভিযোগ, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের উদ্দেশ্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি যেগুলি কাজ করে তাদের সাহায্য় করা।'
কেন্দ্রীয় এজেন্সির উপর হামলা প্রথম নয় বলেও মনে করিয়েছেন সুকান্ত। তাঁর অভিযোগ, 'কেন্দ্রীয় এজেন্সির উপর হামলা প্রথমবার নয়। ২০১৯ সালে তখনকার পুলিশ কমিশনার - তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের কাজে গিয়ে সিবিআইকে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। শুধু বাধা দিয়ে ক্ষান্ত হয়নি, বেশ কয়েকজন সিবিআই অফিসারকে গ্রেফতার করিয়েছিলেন যা বেআইনি-সংবিধান বিরোধী। তৎকালীন সিবিআই জয়েন্ট ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হয়।' তাঁর সংযোজন, 'কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা সুরক্ষিত নয়। যাঁরা ভারতপ্রেমী লোকজন, পশ্চিমবঙ্গের লোকজনের কী অবস্থা হতে চলেছে তাঁরা তা বুঝতেই পারছেন।'
তৃণমূলের দলীয় অবস্থানের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সুকান্ত। তাঁর তোপ, 'তৃণমূলের তরফ থেকে যেরকম প্রতিক্রিয়া এসেছে তাতে স্পষ্ট যে তৃণমূলের তরফে এই হামলায় প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে। উস্কানি দেওয়া হচ্ছে সব জায়গায় যেন এভাবেই ইডি অফিসারদের উপর হামলা করা হয়।'
সুকান্ত মজুমদারের আশঙ্কা, 'যদি ভারতে সংবিধানের দ্বারা সুরক্ষিত কোনও সংস্থা নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে না পারে, তাঁদের উপর হামলা হয়, তাহলে তো কাল বিচারকদের উপর হামলা হবে। পরশু অন্য কারও উপর হামলা হবে। রাজ্য প্রশাসন সব ভেঙে যাবে।'
আরও পড়ুন: শুঁড়ে পেচিয়ে আছাড়, ঝাড়গ্রামে হাতির হামলায় মর্মান্তিক মৃত্যু হুলা পার্টির সদস্যের