WB Madhyamik Results 2023 Toppers:'ফিজিক্স নিয়ে গবেষণা করতে চাই', লক্ষ্য স্পষ্ট মাধ্যমিকে পঞ্চম সুপ্রভ আদকের
Suprabha Adak From Paschim Medinipur:মোটা কালো ফ্রেমের চশমা, ছোট করে কাটা চুল। কথাবার্তা খুব একটা শোনা যায় না। এমনকি মাধ্যমিকে পঞ্চম স্থান পাওয়ার পরও সে অর্থে উচ্ছ্বাস নেই সুপ্রভ আদকের।
পশ্চিম মেদিনীপুর: মোটা কালো ফ্রেমের চশমা, ছোট করে কাটা চুল। কথাবার্তা খুব একটা শোনা যায় না। এমনকি মাধ্যমিকে (Madhyamik Result 2023) পঞ্চম স্থান (5th Rank) পাওয়ার পরও সে অর্থে উচ্ছ্বাস নেই পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) সারদা বিদ্যামন্দিরের ছাত্র সুপ্রভ আদকের। তবে মৃদু হাসিতেই বোঝা যাচ্ছে, জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় মারকাটারি সাফল্যে ঠিক কতটা খুশি কিশোর। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮।
ধ্যান, জ্ঞান 'পদার্থবিদ্যা'...
কথা কম, কিন্তু ভাবনার উড়ান ডালপালা মেলে ফেলেছে আগেই। এর পর কী নিয়ে লেখাপড়া করতে চায় সে ব্যাপারে প্রশ্ন করতেই সুপ্রভ বলল, 'ফিজিক্স নিয়ে গবেষণা করতে চাই।' পদার্থবিদ্যার জটিল জট ছাড়াতে রীতিমতো আনন্দ পায় সে। তবে শুধুই যে বইয়ে মুখ গুঁজে রাখা তার একমাত্র পছন্দ, তা নয়। সুুপ্রভর কথায়, 'ছবি আঁকতে, খেলাধুলো করতে ভালো লাগে।' গান করতেও ভালবাসে সে। সব কিছু নিয়েই এগিয়ে যেতে চায় সুপ্রভ। সে দিক থেকে তার সঙ্গে খানিকটা মিল রয়েছে মাধ্যমিকে আর এক স্থানাধিকারী, অন্বেষা চক্রবর্তীর। সুপ্রভর মতো মাধ্যমিকে পঞ্চম হয়েছে বাঁকুড়ার মিশন গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী অন্বেষাও।
ডাক্তার হতে চায় অন্বেষা...
ফলপ্রকাশ হতেই সংবাদমাধ্যমের বুমের ছড়াছড়ি বাড়িতে। ৬৮৮ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিকে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী অন্বেষা চক্রবর্তী। আনন্দের চওড়া হাসি তার চোখেমুখে। তার মধ্যেই বললেন, 'ডাক্তার হতে চাই।' তবে তার ফাঁকে নিজের মতো করে আবৃত্তিও করে সোনার মেয়ে।তুখোর সাফল্যের দিনে যাঁরা পাশে ছিলেন তাঁদের কথা ভোলেনি কিশোরী। বলল, 'শিক্ষক, গৃহশিক্ষক সকলে খুব সাহায্য করেছিলেন। ওঁদের পরামর্শ অনুযায়ী, রুটিন মেনে লেখাপড়া করেছি।' বরাবর স্কুলে প্রথম হত অন্বেষা। কিন্তু মাধ্যমিকের এই ফলাফল ছাড়া সেই Rank-র যে কোনও অর্থ হয় না, সেটিও স্পষ্ট বলে দিল কিশোরী। ঠোঁটে মিষ্টি হাসি। অন্বেষার কথায়,'আজ খুব ভালো লাগছে।' কিন্তু কী ভাবে এল খবরটা? কৃতী কিশোরী জানাচ্ছে, পর্ষদের তরফে যখন মেধাতালিকা ঘোষণা করছে তখন টেলিভিশনের পর্দায় ঠায় চোখ লাগিয়ে বসেছিলেন তার বাবা। খুশির খবরটা তিনিই মেয়েকে জানান। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে মেসেজে অভিনন্দন-বার্তাও পেয়েছে সে। কিন্তু তার পর থেকেই বাড়িতে সংবাদমাধ্যমের ভিড়। ফলে এখনও কারও সঙ্গে কথা বলে উঠতে পারেনি সে।
আরও পড়ুন:অনলাইনে ২৫ কোটির আম অর্ডার করলেন ভারতীয়রা! সবচেয়ে বেশি বিকোল আলফানসো