(Source: Poll of Polls)
Mamata Banerjee: 'আমরা বঙ্গভঙ্গ চাই না, সঙ্গ চাই', শিলিগুড়ি থেকে 'অখণ্ড বাংলার' বার্তা মমতার
ভাল করে কাজ করুন, ভাগাভাগি করবেন না । আমরা বঙ্গভঙ্গ চাই না, সঙ্গ চাই। শিলিগুড়ি থেকে অখণ্ড বাংলার বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
শিলিগুড়ি: ভাল করে কাজ করুন, ভাগাভাগি করবেন না। আমরা বঙ্গভঙ্গ চাই না, সঙ্গ চাই। শিলিগুড়ি থেকে অখণ্ড বাংলার বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গত বছর উত্তরবঙ্গের জন্য একটি আলাদা রাজ্যের দাবি জানিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন জন বার্লা। তাঁর রাজ্য বিভাজনের প্রস্তাব এক কথায় নাকচ করে দেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। দিলীপ ঘোষেরা জানিয়ে দেন, এ প্রস্তাব একান্তই বার্লার নিজস্ব। দলের এতে কোনও সায় নেই। তার পরেও যে নিজের দাবি থেকে তিনি সরেননি। এরপর একাধিকবার পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি সামনে এসেছে। এদিন সেই প্রসঙ্গই ফের একবার সামনে এনে মতামত রাখলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী।
যদিও পরে পৃথক রাজ্যের দাবিকে পরোক্ষে সমর্থন জানান রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আলাদা রাজ্যের দাবি কেউ করে থাকলে তা অন্যায্য নয়। উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূল।
এর আগে পৃথক রাজ্যের দাবি জানান আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জন বার্লা। তিনি বলেছিলেন, আলাদা রাজ্য হলেও ভাল, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলেও ভাল। এর বেশি নয়। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, জন বার্লা একজন জনপ্রতিনিধি। যাঁরা তাঁকে জিতিয়েছেন তাঁদের কথা শোনার দায়িত্ব তাঁর। তাই তিনি বলেছেন। পার্টির স্ট্যান্ড আছে পার্টি ভেবে দেখবে।
বিধানসভা ভোটের পর আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লার বঙ্গভঙ্গের দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। সেই দাবিকে কার্যত সিলমোহর দিলেন দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার জলপাইগুড়িতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লাকে পাশে নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বুঝিয়ে দেন, এ ধরনের দাবি ন্যায্য।
এ দিন তৃণমূল নেত্রী বলেন 'আমি উত্তরবঙ্গেই বেশি সফর করি। উত্তরবঙ্গে বহু উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনের ধাঁচে এখানেও আমরা সম্মেলন করতে পারি। আবার আমরা দুয়ারে সরকার প্রকল্প শুরু করছি। ১ নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দুয়ারে সরকার প্রকল্প শুরু হবে। কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না।
গতকাল উত্তরবঙ্গ (North Bengal) সফরে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবারের সফরে মালবাজারে বিসর্জনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। গতকাল বিকেলে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে সড়কপথে যান মালবাজারে। বিসর্জনে হড়পা বানে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ প্রশাসনিক বৈঠকও করেন তিনি। মালবাজারের পাশাপাশি শিলিগুড়িতেও কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। বুধবার বিজয়া সম্মিলনীতে তাঁর যোগ দেবেন মমতা। বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী।
গতকাল মালবাজার বিপর্যয়ে উদ্ধারকারীদের পুরস্কৃত করল রাজ্য সরকার। ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার পাশাপাশি দেওয়া হল সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরির প্রস্তাব। স্থায়ী চাকরির দাবি উদ্ধারকারী মহম্মদ মানিকের। মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে ডাক না পাওয়ায় রাজনীতির অভিযোগ করলেন, ২ উদ্ধারকারী।
দশমীর রাতে মাল নদীতে হড়পা বানে যখন খড়কুটোর মতো ভেসে যাচ্ছিল মানুষ তখন, এগিয়ে এসেছিলেন এরা কোনওকিছুকে আকড়ে ধরে যখন সকলে প্রাণ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছে, তখন নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধারের ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মহম্মদ মানিক, মনোজ, তারিফুল, বিশ্বজিতরা। মঙ্গলবার,মালবাজার বিপর্যয়ে উদ্ধারকারীদের পুরস্কৃত করল রাজ্য সরকার। ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার পাশাপাশি দেওয়া হল চাকরির প্রস্তাব। কিন্তু, কেউ ফিরিয়ে দিলেন সেই প্রস্তাব। কেউ আবার, অনুষ্ঠানে ডাক না পেয়ে তুললেন রাজনীতির অভিযোগ।
উত্তরবঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে, জলপাইগুড়ির মাল আদর্শ বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন দশমীর রাতে মাল নদীতে হড়পা বানে মৃতদের পরিবারের সদস্যরা। ডাকা হয়েছিল, ঝুঁকি নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো মসীহাদের।
রাজ্য সরকারের তরফে উদ্ধারকারীদের হাতে বিশেষ সংশাপত্র তুলে দেওয়া হয়। দশমীর রাতে হড়পা বানের মধ্যে সবাই যখন নিজের প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া, তখন আরেক উদ্ধারকারী মহম্মদ মানিককে ঝাঁপাতে দেখে অনেকেই অবাক হয়ে গেছিলেন! এদিন, তাঁর হাতেও ১ লক্ষ টাকা ও শংসাপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, মনোজ মুণ্ডার মতো খুশি হননি মানিকও। তাঁর দাবি, সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি তিনি করবেন না, দিতে হবে স্থায়ী চাকরি।