(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Bagdogra Airport Closure : ভরা মরসুমে ১৫দিন বন্ধ বাগডোগরা বিমানবন্দর, মাথায় হাত পর্যটন ব্যবসায়ীদের
Bagdogra Airport Closure : ব্যবসায়ীদের দাবি, সংস্কার করতে হলে এখনই করা হোক। এপ্রিলে ১৫দিন বন্ধ থাকলে ব্যবসায় বিপুল ক্ষতি হবে।
সনৎ ঝা, দার্জিলিং: রানওয়ে সংস্কারের জন্য শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দর এপ্রিল মাসে ১৫ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করেছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ১১-২৫ এপ্রিল বন্ধ থাকবে বিমানবন্দর।
বাগডোগরা বিমানবন্দর পরিচালনা করে ভারতীয় বায়ুসেনা। শিলিগুড়ি উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার হওয়ায় এই বিমানবন্দরের গুরুত্ব বেড়েছে। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, বাগডোগরা দিয়ে প্রতিদিন ৩৬টি বিমান চলাচল করে। গড়ে ৮-৯ হাজার যাত্রী ওই বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে৷ ফলে বাগডোগরা বিমানবন্দর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে চিন্তায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এপ্রিল মাসে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পর্যটন ব্যবসায় তার প্রভাব পড়বে বলে তাঁদের আশঙ্কা।
আরও পড়ুন :
বেলার দিকে কাটবে কুয়াশা, যদিও মেঘ পিছু ছাড়বে না দার্জিলিং পাহাড়ের
করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় রাজ্যে ঝড়ের গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যটন কেন্দ্রগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এর ফলে ভরা মরশুমেও চরম অনিশ্চতায় দিন কাটছে ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায়ীদের। ইতিমধ্যেই পর্যটন কেন্দ্রগুলি পুরোপুরি খুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছে ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ফোরাম-সহ চারটি সংগঠন। বাগডোগরা বিমানবন্দরের মাধ্যমে দার্জিলিং পাহাড়, ডুয়ার্স ও সিকিমের পর্যটকরা আসেন। নতুন বছরের শুরুতেই বড় ধাক্কা খেয়েছে এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা। সমতলে গরম পড়লে যে পাহাড়ে মানুষ যায় স্বস্তির খোঁজে। এই পরিস্থিতিতে যদি পিক সিজন এপ্রিলেই বন্ধ থাকে বিমানবন্দর তাহলে ফের পর্যটকদের আসা-যাওয়ার সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই এই সিদ্ধান্ত স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় ফেলেছে পর্যটকদের।
কবে খুলবে পর্যটন কেন্দ্র? দেশ-বিদেশের পর্যটকদের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন কবে সত্যি হবে? সেই অপেক্ষায় দিন গুণছেন ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার মানুষ। এরই মধ্যে এই সংবাদ চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে ট্যুরিজম ব্যবসায়ীদের কপালে। ব্যবসায়ীদের দাবি, সংস্কার করতে হলে এখনই করা হোক। এপ্রিলে ১৫দিন বন্ধ থাকলে ব্যবসায় বিপুল ক্ষতি হবে। বায়ুসেনার ওপর বিষয়টি নির্ভর করছে, দাবি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি বিবেচনা না করলে, বড় আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।