Child Trafficking: শিশুপাচার চক্রে এবার বিদেশ যোগ? ধৃতের পাসপোর্ট খতিয়ে দেখে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল CID !
CID On West Bengal Child Trafficking : ক্লাস সেভেন পাস এসি মেকানিক কেন ২ বছরে ২ বার বিদেশ গেলেন? ধৃতের বাজেয়াপ্ত পাসপোর্ট খতিয়ে দেখে মিলল তথ্য !
কলকাতা: শিশুপাচার চক্রে এবার বিদেশ যোগ? ধৃত মানিক হালদারের পাসপোর্ট খতিয়ে দেখে নয়া তথ্য পেল CID।CID সূত্রে খবর, '২ বছরে ২ বার বিদেশে গেছিলেন ধৃত মানিক হালদার।একবার গেছিলেন মলদ্বীপ, তারপর যান কঙ্গো' ধৃতের বাজেয়াপ্ত পাসপোর্ট খতিয়ে দেখে মিলল তথ্য !
ক্লাস সেভেন পাস এসি মেকানিক কেন ২ বছরে ২ বার বিদেশ গেলেন? বিদেশেও ছড়িয়ে শিশুপাচার চক্রের জাল? খতিয়ে দেখছে CID.'শহরের বিভিন্ন IVF সেন্টারগুলির ওপর নজর রাখতেন ধৃত মানিক হালদার',CID সূত্রে খবর, IVF সেন্টারগুলিতে রীতিমতো রেকি করতেন ধৃত। ধৃতকে জেরা করে শিশুপাচার চক্রের বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে CID। বাকিদের খোঁজে বিহার যাচ্ছে CID টিম । রবিবার শালিমার স্টেশন থেকে গ্রেফতার মানিক হালদার ও তাঁর স্ত্রী মুকুল।
শিশু পাচার চক্রের পর্দাফাঁসের ঘটনায় নয়া তথ্য়। সিআইডি সূত্রে দাবি, সোশাল মিডিয়ায় রীতিমতো গ্রুপ খুলে রমরমিয়ে চলত শিশুপাচার চক্র। আবেদনকারীদের সঙ্গে টাকার ডিল হত হোয়াটস্যআপে। এদিকে স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় এসি মেকানিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন অভিযুক্ত মানিক হালদার। এসি মেকানিক থেকে আন্তঃরাজ্য শিশুপাচারকারী, ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করে সন্তানহীন দম্পতিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা, রীতিমতো তথ্য যাচাই করার পর লক্ষ লক্ষ টাকায় শিশু বিক্রির ডিল। রবিবার শালিমার স্টেশন থেকে শিশুপাচারকারী দম্পতি গ্রেফতার হওয়ার পর সামনে এল এরকম চমকে দেওয়ার মতো একাধিক তথ্য। সিআইডি সূত্রে দাবি, ফাঁদ পাতা হত অনলাইনে। কিন্তু কীভাবে? রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি,ফেসবুকে 'চাইল্ড অ্য়াডাপশন' বলে একটি গ্রুপ খোলা হয়।
এক্ষেত্রে বেআইনিভাবে যাঁরা সন্তান নিতে অর্থাৎ শিশুসন্তান কিনতে আগ্রহী তাঁরা এই গ্রুপের সদস্য হতেন। ভালভাবে তথ্য যাচাইয়ের পর বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারলে সেইসব আবেদনকারী দম্পতিদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দেওয়া হত। তারপর আরও কয়েক দফা তথ্য যাচাইয়ের পর হোয়াটসঅ্যাপেই হত টাকার ডিল। ঠিক যেমনটা হয়েছিল শিশু কিনতে আগ্রহী সেজে থাকা দুই সিআইডি অফিসারের সঙ্গে।
আরও পড়ুন, ফের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড কলকাতায় , দাউদাউ আগুন ইএম বাইপাসের ধারে কালিকাপুরে
৪ লক্ষ টাকায় শিশু কেনার চুক্তি হওয়ার পর রবিবার, শালিমার স্টেশন থেকে পাচারকারী দম্পতি মানিক হালদার ও তাঁর স্ত্রী মুকুল সরকারকে গ্রেফতার করে সিআইডি। স্থানীয় সূত্রে দাবি, ধৃত মানিক এবং মুকুলের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। বেশ কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় তাঁদের। আগে মানিক এলাকায় এসির মেকানিক হিসেবে পরিচিত ছিল।সিআইডি সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে ধৃত দম্পত্তির ২টি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।