WBCPCR: প্রকাশ্যে জাতীয় ও রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের ২ চেয়ারপার্সনের বিবাদ
West Bengal News: তিলজলাকাণ্ডে সংঘাতের মধ্যেই গাজোলে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন।
আবির দত্ত, কলকাতা: তিলজলাকাণ্ডে (Tiljala) সংঘাতের মধ্যেই গাজোলে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন (NCPCR)। কেন্দ্রের টিমের আগেই এলাকায় পোঁছল রাজ্যের (West Bengal) টিম। তিলজলাকাণ্ডে তদন্তে আসা এনসিপিসিআর চেয়ারপার্সনকে নিগ্রহের অভিযোগ ঘিরে তুঙ্গে রাজনীতি।
তিলজলাকাণ্ডের অনুসন্ধানে এসে বিস্ফোরক অভিযোগ জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের। প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর অভিযোগ, পুলিশের বেআইনি কাজের প্রতিবাদ করায় থানার ভিতরেই তাঁকে মারধর করেছেন ওসি। পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছে রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। বাংলার রাজ্যপাল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ট্যুইটার হ্যান্ডলে ট্যাগ করে ট্যুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি লিখেছেন, ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা, যা কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস অ্যাক্ট, ২০০৫-এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত। তিলজলা থানার ভিতরে NCPCR-এর চেয়ারপার্সনকে মারধর করা হয়। এটাই পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তিলজলায় ৭ বছরের শিশুকে খুনের ঘটনায় তদন্তে আসা NCPCR-এর চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো-সহ টিমকে সাহায্য করা হয়েছে ও নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, তিলজলা থানার পুলিশের তরফে গোটা বিষয়টি একটি বডি ক্যামেরায় রেকর্ড করা হচ্ছিল। এবং প্রিয়াঙ্ক কানুনগো সেই ক্য়ামেরাটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে শারীরিকভাবে আটকানো হয়েছিল, এমনটাই অভিযোগ তাঁর।
আরও পড়ুন, কলকাতায় এক লাফে দ্বিগুণ বাড়ল পার্কিং ফি! গাড়ি রাখতে খসবে আরও টাকা
The National Commission for Protection of Child Rights is a Statutory Body established under the Commission for Protection of Child Rights Act, 2005.@NCPCR_ Chairperson is beaten up inside Tiljala PS.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) March 31, 2023
That's the Law & Order situation of WB Hon'ble @BengalGovernor &@HMOIndia. https://t.co/eHneud7x9S
সূত্রের খবর, তিলজলা থানার ওসি বিশ্বক মুখোপাধ্যায়কে ছুটিকে পাঠানো হয়েছে। যদিও, লালবাজার সূত্রে খবর, শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে তিলজলা থানার ওসির আগে থেকেই ছুটি নেওয়া ছিল। গোটা ঘটনার তদন্তভার লালবাজারের গোয়েন্দাবিভাগকে দেওয়া হয়েছে।