Jadavpur University: ক্ষুব্ধ রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন, পড়ুয়া মৃত্য়ুর ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ফের নোটিস
JU Student Death: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর পর, ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না, তৃতীয় নোটিসে তা জানতে চেয়েছে রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন।
কলকাতা: ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে তৃতীয় নোটিস পাঠাল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কমিশনের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ কমিশন। যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর পর, ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না, তৃতীয় নোটিসে তা জানতে চেয়েছে রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। (Jadavpur University)
এই নিয়ে তৃতীয় নোটিস পাঠাল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। ফলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং তাদের মধ্যে সংঘাতের আবহ টের পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দ্বিতীয় নোটিসের যে উত্তর পাঠানো হয়েছিল, তাতে সন্তুষ্ট নয় রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। এমনকি উত্তরপত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে এক্তিয়ার নিয়ে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, সেই নিয়েও ক্ষুব্ধ এবং বিস্মিত তারা। (JU Student Death)
রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন জানিয়েছে, তৃতীয় নোটিস পাঠানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। তাতে সিসিটিভি বসানো নিয়ে কী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, জানতে চাওয়া হয়েছে। অ্যান্টি ব়্যাগিং সেল, যারা কার্যকরী ভূমিকায় ছিল, তাদের কাছে সংরক্ষিত নথি যথাযথ অবস্থায় রয়েছে কিনা, জানতে চাওয়া হয়েছে।
এর আগে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার আবেদন করেছিল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে নোটিসের যে উত্তর দেওয়া হয়, তাতে গোটা ঘটনায় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। কমিশন সূত্রে খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষের তরফে এমন উত্তর পেয়ে বিস্মিত তারা। দু'টি উত্তরপত্রের কোনওটিতেই সন্তুষ্ট হওয়া যায়নি।
অন্য দিকে, শনিবার প্রায় একমাস পর সাফাইকর্মীরা প্রবেশ করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। গেট বন্ধ থাকায় আসতে পারেননি, কর্তৃপক্ষের তরফে আবেদন জানাতেই এসেছেন। তাতে যাদবপুরের ওপেন এয়ার থিয়েটারে খালি মদের বোতল মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। একমাস পর, সাফাই কর্মীরা পরিষ্কার করতে এসে প্রচুর মদের বোতল ও নেশার সামগ্রী উদ্ধার করেন। ১০ অগাস্ট, যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর পর, ক্যাম্পাসে মেলে প্রচুর খালি মদের বোতল। তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। দায়িত্বভার নিয়ে ক্যাম্পাস পরিদর্শনে গিয়ে সাফাই অভিযানে জোর দেন নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। এর পর আজ বিশ্ববিদ্যালের ওপেন এয়ার থিয়েটার থেকে উদ্ধার হল প্রচুর খালি মদের বোতল।