Covid-19 Update: রাজ্যে বাড়ছে করোনা-উদ্বেগ, ১১ জন আক্রান্তের সন্ধান !
Corona Cases: ২০২০ থেকে ২০২২। দু’বছর ধরে করোনার ভয়ঙ্কর তাণ্ডবলীলার সাক্ষী থেকেছে গোটা বিশ্ব। বছর তিনেক পর ফের করোনার ভ্রুকুটি!

সন্দীপ সরকার, কলকাতা : রাজ্যে বাড়ছে কোভিড উদ্বেগ। গত এক সপ্তাহে ১১ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। এরমধ্যে বাইপাসের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬ জন। দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আরও এক জন। রাজ্যে আগে ৪ আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল। আক্রান্তরা অধিকাংশই সর্দিজ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি । সবাইকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে দেওয়া হচ্ছে অক্সিজেন। তবে, আক্রান্তরা কেউ গুরুতর অসুস্থ নন, বলে খবর হাসপাতাল সূত্রের।
২০২০ থেকে ২০২২। দু’বছর ধরে করোনার ভয়ঙ্কর তাণ্ডবলীলার সাক্ষী থেকেছে গোটা বিশ্ব। বছর তিনেক পর ফের করোনার ভ্রুকুটি! মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের মতো জায়গায় গত কয়েকদিন ধরেই করোনার সংক্রমণ বাড়ছিল। এবার ভারতেও করোনার সংক্রমণের হারে বৃদ্ধি ধরা পড়ল। এবার রাজ্যেও একাধিক করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল।
চিকিৎসক অজয় সরকার বলছেন, "ইনফেক্টিভিটি থাকবেই। ভাইরাস সম্পূর্ণ রূপে তো আমরা ইরাডিকেট করতে পারিনি, স্মল পক্স বা পোলিওর মতো, অতএব এটা থাকবেই। বছরে বছরে ঘুরে ঘুরে আসবে। আমরা প্রত্যেকেই ভ্যাকসিন নিয়েছিলাম। হয়তো আমাদের প্রত্যেকের তিনটি ভ্যাকসিন নেওয়া আছে। অতএব ভ্যাকসিনেটেড যাঁরা তাঁদের ভয় পাওয়ার কারণ নেই।"
চিকিৎসক প্রভাসপ্রসূন গিরি বলেন, "কোভিডও থেকে যাবে। নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসবে। সারাবছর ধরেই হয়তো টুকটাক অসুখ-বিসুখ করবে। হয়তো কখনো না কখনো সময় একটু ক্লাস্টারিং হবে। আমাদের যদি কোভিড এরকম বছরের পর বছর চলতে থাকে, যদি দেখা যায় যে কোভিডের জন্য মৃত্যু কিছুটা হলেও রয়েছে, তাহলে কি আমাদের প্রতি বছর বছর নিয়ম করে কোভিড ভ্যাকসিন নিতে হবে ? নাকি, এমন নতুন কিছু কোভিড ভ্যাকসিন নিতে হবে যেটা বহুদিন ৫-৬-৮ বছর অবধি রোবাস্ট ইমিউনিটি দিতে পারে ? এই দুটো জিনিস আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। তার সঙ্গে সঙ্গে এটা ভাবতে হবে যদি কোনও তাৎপর্যপূর্ণ অসুখ করে থাকে, যাতে মৃত্যু বাড়ছে, যেহেতু এটা ভাইরাস...এটার বিরুদ্ধে কোনও অ্যান্টি-ভাইরাস, কোনও ওষুধ আমাদের লাগবে কি না। লাগলে সেটা কী...সেটা এক্সিক্সটিং কোনও অ্যান্টি-ভাইরাল, নাকি নতুন কোনও অ্যান্টি ভাইরাল আমাদের আবিষ্কার করতে হবে, দেখতে হবে।"
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে ফের বাড়ছে সংক্রমণ। ওমিক্রনের উপপ্রজাতি JN ডট ওয়ানে সংক্রমণের হার খুব বেশি। সেক্ষেত্রে RTPCR-এর সংখ্যা বাড়ানো এবং গাইডলাইন বেঁধে দেওয়া জরুরি।






















