Corona Update: করোনা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ, কতটা প্রস্তুত রাজ্য? হাসপাতালগুলিতে কী অবস্থা?
Covid19 Cases: করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। সব রাজ্য সহ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কলকাতা: লাফিয়ে বাড়ছে করোনা (Corona Update) আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি। দিল্লিতে ৫ মাসের সদ্যোজাতর মৃত্যু। সবমিলিয়ে দেশে নতুন করে মৃত ৭। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এরাজ্যের ছবিও। কলকাতায় ৭ মাসের শিশুও আক্রান্ত। রাজ্যকে সতর্ক থাকতে বলল কেন্দ্র। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত রাজ্য? হাসপাতালগুলিতে কী অবস্থা?
রাজ্যে একদিন করোনা আক্রান্তের হার বেড়েছে ৮০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০৬ জন। তার আগে এই সংখ্যাটা ছিল ৬০। গতকালই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে একটি অ্যাডভাইসরি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং রাজ্যগুলিকে পাঠানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, অক্সিজেন, আইসোলেশন বেড, ভেন্টিলেটর, জরুরি ওষুধের স্টক রাখতে হবে। হাসপাতালে হাসপাতালে মক ড্রিল সেরে রাখতে হবে। শ্বাসকষ্ট রয়েছে এমন রোগীদের বিশেষ নজরদারি চালাতে হবে। ভাইরাসের চরিত্র বোঝার জন্য যাঁরা কোভিড পজিটিভ হচ্ছেন তাঁদের নমুনা ICMR-এর ল্যাবে পাঠাতে হবে। দেশবাসীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে অসুস্থ হলে জনবহুল জায়গা এড়িয়ে চলুন। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে আলাদা করে রাখুন নিজেকে। এরপর স্বাস্থ্য দফতর সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে আজ বিকেলের মধ্যে কোভিড চিকিৎসা পরিকাঠামো সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে। অতীতে যা পরিকাঠামো ছিল তার কী অবস্থা তারও উল্লেখ করতে হবে। সব তথ্য পাওয়ার পর রাজ্যের তরফে তা জানানো হবে কেন্দ্রকে।
কী পরিস্থিতি হাসপাতালের?
সেই লকডাউন, সেই মৃত্যু মিছিল, স্বজনহারানোর কান্না... ভয়ঙ্কর রূপ দেখিয়েছে করোনা। হাসপাতালে শুয়ে আক্রান্তরা। তৈরি করা হয়েছিল কোয়ারেন্টিন সেন্টার। আবারও ভয় ধরাচ্ছে মারণ ভাইরাস। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কীভাবে করা হবে মোকাবিলা। কতটা প্রস্তুত রয়েছে হাসপাতালগুলি? এপ্রসঙ্গে এমআর বাঙুর হাসপাতালের সুপার শিশির নস্কর বলেন, "সরকারি নির্দেশ মতোই এই হাসপাতালও কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি রাখতে হয়েছে। ৩৫টি বেডের একটা ওয়ার্ডও করে ফেলা হয়েছে। কেবিনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বর্তমানে এই হাসপাতাল নন কোভিড সার্ভিস দিচ্ছে। হঠাৎ এমন পরিস্থিতি যদি আসে তাঁদের জন্য আইসোলেশনের ব্যবস্থা করাটা বেশ চাপের। তাই আপাতত ৩৫টা বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এমন কোনও কোভিড আক্রান্ত রোগী নেই যাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ারে দিতে হবে। যদি ভবিষ্য়তে দিতে হয় তাহলে ITU 1-কে কোভিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার হিসেবে ব্যবহার করব।''





















