West Bengal Coronavirus : কেন্দ্রকে জানাতে হবে, কোভিড মোকাবিলায় তৈরি তো? তড়িঘড়ি হাসপাতালদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য
BF.7 এর মোকাবিলায় দেশের হাসপাতালগুলি কতটা প্রস্তুত তা জানতে আগামীকাল, অনলাইনে সব তথ্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকে পাঠাতে হবে।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা : করোনা-উদ্বেগের মধ্যেই সমস্ত রাজ্যের কাছে কোভিড প্রস্তুতি সংক্রান্ত তথ্য চাইল কেন্দ্র। এর প্রেক্ষিতে সোমবার কলকাতার সমস্ত সরকারি হাসপাতাল ও জেলাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসছে স্বাস্থ্য দফতর। ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট BF.7 এর মোকাবিলায় দেশের হাসপাতালগুলি কতটা প্রস্তুত তা জানতে আগামীকাল, অনলাইনে সব তথ্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকে পাঠাতে হবে।
পাশাপাশি, ভিডিও কনফারেন্সে কোভিড হাসপাতালগুলির ব্য়বস্থা খতিয়ে দেখতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। রাজ্যগুলিকে পাঠানো কেন্দ্রের অ্যাডভাইসরিতে বলা হয়েছে, জেলার কোভিড সংক্রান্ত সব তথ্য পাঠাবেন সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক। কেন্দ্রের পাঠানো অ্যাডভাইসরিতে মূলত হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য অনলাইনে জানাতে বলা হয়েছে।
বিএফ.৭ ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমন হলে দেশের সব হাসপাতালগুলি কতটা প্রস্তুত তা জানতে কাল, মঙ্গলবার অনলাইনে সব তথ্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে পাঠাতে হবে। তার আগে এই বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল ।
কেন্দ্রের পাঠানো অ্যাডভাইজারিতে রাজ্যগুলিকে যেসব বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তার প্রথমেই রয়েছে -
- লোকালয় থেকে কোভিড হাসপাতালের দুরত্ব কতটা?
- সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডের সংখ্যা কতগুলি?
- অক্সিজেন সার্পোট আইসোলেশন ওয়ার্ডের সংখ্যা কত?
- হাসপাতালে আইসিইউ, সিসিইউ শয্যা এবং ভেন্টিলেটরের সংখ্যা কত?
- হাসপাতালগুলিতে কোভিড বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা কত ?
- নন কোভিড চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা কত? তাও অনলাইন ফর্মে জানাতে হবে।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, সংক্রমন শুরু হলে জরুরি অস্ত্রোপচার বা সাধারন চিকিৎসা যাতে ব্যাহত না হয় তারজন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র থেকেও এই বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই জন্যই হাসপাতাল পিছু কোভিড ও নন কোভিড চিকিৎসক, নার্স, প্যারামেডিক্যাল স্টাফ এবং RTPCR ও RAT পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা জানাতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে।
করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট BF.7-এর সংক্রমণে কাঁপছে চিন। ভারতে এখনও পর্যন্ত চার জনের শরীরে নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট মিলেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, চিনে BF.7-এর সংক্রমণ যতটা ভয়াবহ হয়েছে, ভারতে তা ততটা ভয়ঙ্কর হবে না। ভারতে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সময় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়। তারপর ধীরে ধীরে ভ্যাকসিনেশন শুরু হয় দেশে। পরবর্তীকালে দেওয়া হয় বুস্টার ডোজও।