Cattle Smuggling Case: সিবিআই তদন্তে ব্যাঘাত নয়, গরুপাচারে পৃথক তদন্ত করতে পারবে না রাজ্য, জানাল হাইকোর্ট
Calcutta High Court: এ নিয়ে আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ আদালতের।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: কয়লাপাচারের (Coal Smuggling) এবার গরুপাচার মামলাতেও- (Cattle Smuggling Case) রাজ্য সরকারের ধাক্কা। কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) জানিয়ে দিল, আপাতত গরুপাচার মামলায়. কোনও তদন্ত করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। এমন কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না তারা, যাতে সিবিাই-এর তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলাকালীন অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে এমনটাই জানাল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
গরুপাচার মামলায় আপাতত তদন্ত করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ
শুধু তাই নয়, গরুপাচার মামলায় রাজ্য় পুলিশের পৃথক তদন্ত নিয়ে রাজ্যের কাছে হলফনামাও চেয়েছে হাইকোর্ট। তাতে রাজ্যের তরফে সময় চাওয়া হলে, আদালত আগামী তিন সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। আগামী ১৪ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেখানেই এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আদালত জানিয়ে দেবে বলে জানা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি চলাকালীন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয় যে, গরুপাচার মামলায় সিবিআই-এর কাজে কোনও রকম ব্যাঘাত ঘটানো যাবে না। রাজ্য পুলিশের তরফে এ নিয়ে আপাতত কোনও পদক্ষেপ বা তদন্ত করা যাবে না। তিন সপ্তাহ পর রাজ্যের হলফনামা পেলেই আদালত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে পারে। তবে আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়ে রাজ্য পুলিশের তদন্তপ্রক্রিয়া আটকে দিল আদালত।
আরও পড়ুন: TMC: 'সম্পত্তি বৃদ্ধিতে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি', সুপ্রিম কোর্টে ১৯ তৃণমূল নেতার স্বস্তি
গরুপাচার নিয়ে ২০১৯ সালে রঘুনাথপুর থানায় একটি এফআইআর দায়ের হয়। সম্প্রতি সেই মামলা নিয়ে পৃথক তদন্ত শুরু করে আদালত। সেই নিয়ে নিম্ন আদালতে পৃথক তদন্তের অনুমতি চায় তারা, যা মঞ্জুরও হয়ে যায়। এর পর রাজ্য পুলিশের তরফে একটি চার্জশিটও জমা দেওয়া হয়।
কিন্তু কেন্দ্রীয় সংস্থা যখন গরুপাচার মামলার তদন্ত করছে, সেই সময় এতদিন পর হঠাৎ রাজ্য় পুলিশের এই সক্রিয়তা কেন, প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। কলকাতা হাইকোর্টেরই এক আইনজীবী এ নিয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তাতে তিনি জানান, সিবিআই গরুপাচার মামলার তদন্ত করছে। তাতে এতদিন পর রাজ্য পুলিশ কেন সমান্তরাল তদন্ত চালাচ্ছে? সামগ্রিক ভাবে গরুপাচার মামলার তদন্ত সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হোক এবং রাজ্য পুলিশকে হটানো হোক বলেও আদালতে আবেদন জানান তিনি।
শুধু তাই নয়, ২০১৮ সাল থেকে গরুপাচার মামলার তদন্ত যেখানে সিবিআই-এর হাতে, ২০১৯-এর এফআইআর-কে ভিত্তি করে এখন কেন সক্রিয়তা দেখাচ্ছে রাজ্য পুলিশ, আদালতে সেই প্রশ্নও তোলেন মামলাকারী। এ দিন তারই শুনানি ছিল আদালতে। সেখানেই আপাতত রাজ্যের তদন্ত আটকে গেল।
জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে অন্তর্বর্তী নির্দেশ আদালতের
গরুপাচারকাণ্ডে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা, সিআইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের ঘনিষ্ঠ জেনারুল। মুর্শিদাবাদের সুতি, উঃ ২৪ পরগনার মাটিয়ার দু'টি মামলায় জালে জেনারুল। এর পাশাপাশি, গরুপাচার মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও। এর আগে, কয়লাপাচার কাণ্ডে জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে গিয়েও পিছু হটতে হয়েছিল রাজ্য পুলিশকে।