Bengal BJP News : কলকাতায় পদ্ম শিবিরে উড়ছে টাকা? ঘুষের দিলে তবেই দলে পদ? সাড়া ফেলল এই পোস্টার
Inner Tussle In South Kolkata BJP: দক্ষিণ কলকাতার পদ্মশিবিরে লেগেছে কোন্দল-কাঁটা। টাকা ও উৎকোচের বিনিময়ে নাকি দলে পদ বিলি করা হচ্ছে, অভিযোগ এমনটা।

আবির দত্ত, শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা : ২০২১ সালের ভোটের আবহে বিধানসভা ভোটের টিকিট বণ্টনে বিজেপিতে 'কামিনী ও কাঞ্চনের' ভূমিকার অভিযোগ করেছিলেন তথাগত রায়। এরপরে যতবার BJP মুখ থুবড়ে পড়েছে, আশানুরূপ ফল করতে ব্যর্থ হয়েছে, ততবারই বঙ্গ বিজেপির দিকে বাণ ছুড়েছেন তথাগত । ২১-র পর আবার আরেকটা বিধানসভা ভোটের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে বাংলা। কিন্তু ছাব্বিশের ভোটের আগে ফের ঘরোয়া কোন্দল বিজেপির মধ্যে। তাও খাস কলকাতায়। বিধানসভা ভোটের বছরখানেক বাকি থাকতেই ধর্মের ধ্বজা তুলে প্রচার-যুদ্ধে নেমেছে তৃণমূল ও বিজেপি। 'হিন্দু - হিন্দু ভাই ভাই' স্লোগান তুলে হিন্দু ভোট একত্র করতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু এদিকে নিজের ঘরেই অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। দক্ষিণ কলকাতার বিজেপিতে নাকি পদ পেতে টাকার ঝুলি খুলে বসতে হচ্ছে।
বিষয়টা কী ?
দক্ষিণ কলকাতার পদ্মশিবিরে লেগেছে কোন্দল-কাঁটা। টাকা ও উৎকোচের বিনিময়ে নাকি দলে পদ বিলি করা হচ্ছে, অভিযোগ এমনটা। সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ও জেলা সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে পোস্টারও পড়েছে , একদম পার্টি অফিসের সামনে! ঢাকুরিয়ায় রয়েছে বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলা নির্বাচনী কার্যালয়। তার সামনেই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে বিজেপি কর্মীদের নামে। বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভাপতি অনুপম ভট্টাচার্য ও জেলার সাধারণ সম্পাদক জিতেন্দ্র সিং-এর ছবি দেওয়া পোস্টারে লেখা হয়েছে, 'টাকা, গাড়ি, মোবাইল দিন, দক্ষিণ কলকাতায় পদ নিন। যোগাযোগ করুন জেলার সভাপতি এবং জেলার সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে।' দক্ষিণ কলকাতা বিজেপি কর্মীবৃন্দের নামে দেওয়া হয়েছে পোস্টার।
কী বলছে বিজেপি নেতৃত্ব?
১৭টি জেলায় দায়িত্ব বদল করা হলেও, যে ৮ জনকে পুরনো পদে বহাল রাখা হয়েছে, তাঁদের একজন হলেন অনুপম ভট্টাচার্য। যদিও দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি সভাপতির দাবি, পুরোটাই তৃণমূলের চক্রান্ত। জেলা সাধারণ সম্পাদকের কোনও বক্তব্য মেলেনি। তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
বিজেপির অন্দরে কোন্দলের সুর
৪৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে, শুক্রবারই রাজ্য বিজেপির ২৫টি সংগঠনিক জেলার সভাপতির নাম ঘোষণা করে বিজেপি। এরপর হয়ত পরবর্তী রাজ্য সভাপতি কে হবেন, তা নির্বাচন করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে যাবে। এদিকে মণ্ডল সভাপতি পছন্দ না হওয়ায় বাঁকুড়ায় বিজেপির অন্দরেও চড়েছে ক্ষোভের পারদ। মণ্ডল সভাপতির বুথেই প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বিজেপি নেতা কর্মীরা। কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানান মণ্ডল সভাপতি। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি, বিষ্ণপুর সাংগঠনিক জেলায় ঘোষণা করা হয়েছিল বিজেপি মণ্ডল সভাপতির নাম। তার ঠিক পর দিনই, বিষ্ণুপুর ৪-এর মণ্ডল সভাপতির এলাকায় নতুন মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে পড়েছিল পোস্টার।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
