Jalpaiguri Health: বিকল মেডিক্যাল কলেজের এক্স-রে মেশিন, পরিষেবা পেতে ৪ কিমি পাড়ি রোগীদের
Jalpaiguri Medical College: প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে খারাপ হয়ে রয়েছে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের এক্স-রে মেশিন।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: মেডিক্যাল কলেজ। কিন্তু সেখানে মিলছে না এক্স-রে-এর পরিষেবা। তার জন্য হয়রানির শিকার রোগীরা। এক্স-রে করাতে ৪ কিলোমিটার উজিয়ে আসতে হচ্ছে অন্য একটি হাসপাতালে। এমনই ঘটনা জলপাইগুড়িতে।
জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ। সেখানে খারাপ হয়ে গিয়েছে এক্স-রে মেশিন। ফলে কোনওরকম পরিষেবাই মিলছে না। এক্স-রে করাতে রোগীদের প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।
কতদিন এই পরিস্থিতি:
সূত্রের খবর, প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে খারাপ হয়ে রয়েছে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের এক্স-রে মেশিন। ঘরের বাইরে বড় বড় করে লেখা এক্স-রে মেশিন খারাপ থাকায় পরিষেবা বন্ধ। যার জেরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।
প্রবল ভোগান্তি:
এক ব্য়ক্তির বাড়ি কোচবিহারের জামালদায়। ছেলের অ্য়াক্সিডেন্ট হওয়ায় প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে জলপাইগুড়ি মেডিক্য়াল কলেজে এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। কিন্তু এক্স রে মেশিন খারাপ থাকায়, হোঁচট খেয়েছে চিকিৎসা। ওই রোগীর আত্মীয় মলিন বর্মন বলেন, 'গতকাল অ্য়াক্সিডেন্ট হয়েছে। এখানে এসে ঘুরে যেতে হচ্ছে। টাকা নেই যে অন্য়ত্র করাব।' শুধু একটা ঘটনাই নয়, ভোগান্তির ছবি ধরা পড়েছে আরও। সরকারি পরিষেবায় এক্স-রে করাতে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। এক রোগীর আত্মীয় জানান, তাঁকে বলা হয়েছে কালকে আসতে কিন্তু তাঁর এই মুহূর্তেই এক্স-রে করাতে লাগবে।
জলপাইগু়ড়ি মেডিক্য়াল কলেজের সুপার কল্যাণ খাঁ বলেন, 'হাসপাতালের এক্স-রে পরিষেবা পিপিপি মডেলে, যান্ত্রিক সমস্যার কারণে পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। তবে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে এক্স-রে পরিষেবা চালু রয়েছে, সেখানে গিয়ে রোগীরা পরিষেবা নিতে পারবেন। এটা দু একদিনের মধ্যেই চালু হবে।'
কদিন আগেই এই জেলাতেই এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। টাকার অভাবে শববাহী গাড়ি জোগাড় করতে পারেননি (Man Carrying Mother's Dead Body)। তার জন্য মায়ের দেহ কাঁধে তুলেই রওনা দিলেন ছেলে। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সামনে ধরা পড়ল এই মর্মান্তিক ছবি (District News)। যে সময়ে এই দৃশ্য ধরা পড়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়, সেই সময় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সামনে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল অ্যাম্বুল্যান্স। কিন্তু মৃতার ছেলের দাবি, মায়ের দেহ নিয়ে যেতে তাঁর কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা দাবি করা হয়। তা দিতে পারেননি তিনি। তাই কাপড়ে মোড়া মায়ের দেহ কাঁধে তুলে নিয়ে যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মৃতার ছেলে জানিয়েছেন, শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয় মায়ের। তাতে বুধবার রাতে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মাকে ভর্তি করেন তিনি। কিন্তু বাঁচানো যায়নি মাকে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় মারা যান তাঁর মা। মায়ের দেহ নিয়ে যেতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি। কিন্তু লাভ হয়নি। এই ঘটনার পরে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালত থেকে তাঁর জামিন মেলে।
আরও পড়ুন: পূর্ণিমা কান্দুই আপাতত চেয়ারপার্সন, ঝালদা পুরসভা নিয়ে ফের ধাক্কা রাজ্যের