Mamata on Bangladesh: বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মমতা, এপারে 'শান্তি বজায় রাখার' আর্জি
Mamata Banerjee on Bangladesh Protest: এদিন মমতা বলেন, 'সকলেই আমাদের ভাইবোন। বাংলাদেশের ঘটনায় আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। দুই দেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাই আমাদের মূল লক্ষ্য হোক।'
কলকাতা: ইস্যু ছিল সংরক্ষণ বিরোধী আইন। মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার কেন ৩০ শতাংশ সংরক্ষণের আওতায় থাকবে, আন্দোলন ছিল সেই আইনের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই আগুনে যে ছাড়খাড় হবে বাংলাদেশ, তা কল্পনা করা যায়নি। সোমবার যখন চরম অশান্তির আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ, পদত্যাগ করে দেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা, তখনও পড়শি দেশ জ্বলছে। পদ্মাপাড়ে সেনা-শাসনের সূত্রপাত।
বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে এখন যে পরিস্থিতি চলছে, তা বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার এবং ভারত সরকার দেখে নেবে। কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে বলবে আমরা সেভাবেই কাজ করব। আমি সমস্ত রাজনৈতিক নেতা এবং সকল জনগণকে অনুরোধ করছি দয়া করে এমন কিছু পোস্ট করবেন না যাতে কোনও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এখানে নষ্ট হয়। সব দলের নেতাদের বলব এই ইস্যু দেশের ইস্যু। কেন্দ্র সরকারের উপর ছেড়ে দিন। দেশের সরকার বিষয় দেখে নেবে। হিংসা বা প্ররোচনা ছড়াবেন না কেউ। সকলেই আমাদের ভাইবোন। বাংলাদেশের ঘটনায় আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। দুই দেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাই আমাদের মূল লক্ষ্য হোক। শান্তি রক্ষা করা হোক। পড়শি রাজ্য, দেশে যাই হোক তা পাশের রাজ্য বা দেশে পড়েই। সেক্ষেত্রে শান্ত থাকতে হবে। সব সন্তানরা ভাল থাকুন।'
এদিকে, অশান্ত বাংলাদেশ, কলকাতায় এলেন বিএসএফের ডিজি। ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তে সুরক্ষা বাড়াল বিএসএফ । বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ৪ হাজার ৯৬ কিমি এলাকায় হাই অ্যালার্ট। দেশত্যাগী হাসিনা, বাংলাদেশে সেনা শাসন, কড়া নজর ভারতের ।
কী অবস্থা বাংলাদেশের?
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের গেট ভেঙে দখল করে নিল জনতা। ধানমন্ডিতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, আগুন। বাংলাদেশের শাসন সেনার হাতে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার । রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল চলছে: বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। শান্তি ফেরানোর আবেদন বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের । বাংলাদেশে উঠল কার্ফু, ফের চালু ইন্টারনেট-ব্রডব্যান্ড । বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে গেলেন সেনাপ্রধান । তার আগে একটি বৈঠকে তিনি বলেন, 'জরুরি অবস্থা, কার্ফুর কোনও প্রয়োজন নেই। সেনাকে আদেশ দিয়েছি, গোলাগুলির কোনও প্রয়োজন নেই। সমস্ত হত্যার বিচার হবে, আস্থা রাখুন', এমনটাই জানালেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান।
আরও পড়ুন, দিল্লি থেকে লন্ডন যেতে পারেন শেখ হাসিনা? দিল্লিকে সেফ প্যাসেজ হিসেবে ব্যবহার?
ভাঙল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি, বিক্ষোভকারীদের দখলে 'গণভবন'। ঢাকায় আওয়ামি লিগের সদর দফতরে আগুন। বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মূর্তি ভাঙচুর, স্মৃতিঘরে আগুন।