PSC Agitation : 'যতদিন না নিয়োগ জারি অনশন' PSC ভবনের সামনে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের
Job Scam : চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০১৮ সালে PSC-র ফুড SI পদে নিয়োগের পরীক্ষায় মোট ৯৫৭ জনের নাম প্য়ানেলে উঠেছিল। কিন্তু তাঁদের মধ্য়ে মাত্র ১০০ জনের চাকরি হয়েছে। বাকি ৮৫৭ জনের এখনও নিয়োগ হয়নি।
প্রবীর চক্রবর্তী, কলকাতা : গত শুক্রবারের পর, বৃহস্পতিবার। অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে, ১ সপ্তাহের মাথায়, মুদিয়ালিতে, PSC ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন চাকরিপ্রার্থীরা। এবার আর শুধু বিক্ষোভ কর্মসূচি নয়, যতদিন না, নিয়োগ হচ্ছে, ততদিন অনশনের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা (Agitators)। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০১৮ সালে PSC-র ফুড SI পদে নিয়োগের পরীক্ষায় মোট ৯৫৭ জনের নাম প্য়ানেলে উঠেছিল।
কিন্তু তাঁদের মধ্য়ে মাত্র ১০০ জনের চাকরি হয়েছে। বাকি ৮৫৭ জনের এখনও নিয়োগ হয়নি। বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, বাকিদের নিয়োগ নিয়ে কোনও সদর্থক ভূমিকা দেখাচ্ছে না রাজ্য় সরকার। দ্রুত চাকরির দাবিতে, এদিন সকাল ১১টা থেকে দফতরের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা। এদিন খাদ্য় দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধি দল। এর আগে নিয়োগে দুর্নীতি ও অবিলম্বে চাকরির দাবিতে, গত শুক্রবার মুদিয়ালিতে, PSC ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান PSC দুর্নীতিমুক্ত মঞ্চের সদস্যরা।
কিছুদিন আগেই একদিকে যখন স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে গোটা রাজ্য় উত্তাল, ঠিক সেই সময় WBCS-এ নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন psc-র চাকরিপ্রার্থীদের। তাদের বক্তব্য়, ২০১৭ সালে সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন কালচিনির বর্তমান বিডিও ! বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ২০১৭ সালের WBCS পরীক্ষায় দুর্নীতি হয়। WBCS-এর মাধ্যমে চাকরি পাওয়া আলিপুরদুয়ারের কালচিনির BDO-র নিয়োগ অবৈধ। বিক্ষোভকারীদের আরও দাবি, জটিলতার কারণ দেখিয়ে PSC-তে একাধিক পদে নিয়োগ আটকে রয়েছে। অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করারও দাবি জানিয়েছে PSC দুর্নীতি মুক্ত মঞ্চ।
বিক্ষোভকারী ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেছিলেন, “নিয়োগ বেআইনি। সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি। পরবর্তীতে মমলা। আমাদের টাকায় উকিল দাঁড় করিয়ে চাকরি বাঁচানোর চেষ্টা। তৎকালীন চেয়ারম্য়ানের সাহায্য়ে ফার্স্ট হয়। প্রিলিতে ১৩ পেয়েছিল। ফাইনালে বসারই কথা নয়। সাদা খাতার কালচার চলছে। মুখ্য়মন্ত্রী বলছে সরকারি কর্মীরা চোর-ডাকাত। হ্য়াঁ, এরা চোর ডাকাত। জিরো টলারেন্স বলে না? এদের হয়ে সরকারি উকিলরা সওয়াল করে। ১৩ পেয়ে বিডিও হবে, যোগ্য়রা রাস্তায় ঘুরবে। এটা হবে না। মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চ্যালেঞ্জ করতে চাই। উনি বাঁচাতে পারবেন না। ' কালচিনির বিডিও, প্রশান্ত বর্মনের বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। যদিও এপ্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ার জন্য় ফোন করা হলেও, ফোন ধরেননি কালচিনির বিডিও।
আরও পড়ুন- টাকা নিয়ে চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগ খোদ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে