West Bengal Ration Scam: বিহারের পশু খাদ্য দুর্নীতি মামলার প্রধান অভিযুক্তর সঙ্গে বাংলার রেশন দুর্নীতির যোগ !
West Bengal Ration Scam : চন্দক-ভাইরা ১৯৯৬ সালে বিহারের পশু খাদ্য দুর্নীতি মামলার প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে CBI-এর হাতে গ্রেফতার হন।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : বাংলায় রেশন দুর্নীতির ( West Bengal Ration Scam ) তদন্তে এবার নয়া মোড়। জুড়ে গেল বাংলা ও বিহার। রেশন দুর্নীতির সঙ্গে এবার বিহারের পশু খাদ্য কেলেঙ্কারি মামলার যোগ পেল তদন্তকারী সংস্থা। পশু খাদ্য দুর্নীতি ( fodder scam case )মামলার মূল অভিযুক্তদের নাম জড়াল রেশন দুর্নীতিকাণ্ডেও ! এমনকাই দাবি ইডি-র।
ED-র দাবি, রেশনকাণ্ডের তদন্তে যে সংস্থার নাম উঠে এসেছে, সেই অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডের দুই ডিরেক্টর দীপেশ চন্দক ও হিতেশ চন্দক ১৯৯৬ সালে বিহারের পশু খাদ্য দুর্নীতি মামলার প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে CBI-এর হাতে গ্রেফতার হন। পরে ওই মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে তাঁরা ছাড়া পেয়ে যান।
সূত্রের খবর, ওই মামলায় দীপেশ বয়ান দেন, তিনি ৬০ কোটি টাকা লালুপ্রসাদ যাদবকে দিয়েছিলেন। ED-র দাবি, দীপেশ ও হিতেশ চন্দক মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। চন্দকদের রাইস মিল ও আটা কলে রেশনের চাল এনে, গম ভাঙিয়ে তা প্যাকেটবন্দি করে খোলা বাজারে বিক্রি করা হত বলে কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি।
রেশন দুর্নীতিতে ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুরের চালকলের মতো খাদ্য দফতরের প্যানেলে নাম রয়েছে অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডের। এফসিআইয়ের রেশনের গম ভাঙানোর জন্য খাদ্য দফতরের বরাতপ্রাপ্ত মিল অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেড।
সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় সংস্থা FCI-এর গোডাউন থেকে চাল ও গম আসত এই আটাকলে। এখানে গম পিষে আটা তৈরি এবং তার প্য়াকেজিং হত। অভিযোগ, সেই আটা রেশন দোকানের পাশাপাশি খোলা বাজারেও বিক্রি করা হত। সূত্রের খবর, ED আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করছেন, অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডেও কি বাকিবুর মডেলে, পরিমাণে কম দিয়ে চলত দুর্নীতি? এই তদন্তের মাঝেই উঠে আসছে এই বিস্ফোরক যোগ !
পাশাপাশি, শনিবার ম্যারাথন তল্লাশি চলে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর সাহা ব্রাদার্সের চাল কল, আটা কল, অফিস ও সল্টলেকের হোটেলে। ইডি সূত্রে দাবি, রেশন বন্টন দুর্নীতিতে ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে মন্টু সাহা, কালীদাস সাহা ও মনোতোষ সাহার নাম। ইডি সূত্রে দাবি, বাকিবুরের মতোই এই ৩ জনও প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ। ২০১৯-এর ৩ জুলাই ২০২১-র ১৩ এপ্রিলের মধ্য়ে ৪টি কোম্পানি খোলেন সাহা ব্রাদার্স। কীভাবে, এত কম সময়ের মধ্যে এতগুলি কোম্পানি খোলা হল, তা জানার চেষ্টা করছে ED।
আরও পড়ুন :