Republic Day 2022 : 'হিংসার ওষুধ নেই', নন্দীগ্রামে হারের যন্ত্রণা থেকে ডাকতে দেননি মুখ্যমন্ত্রী, দাবি শুভেন্দুর
West Bengal Republic Day 2022 Celebration At Red Road: মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ঠিক জানি না। তবে উনি আসেন না। গত ১৫ অগাস্টের অনুষ্ঠানেও দেখেছি, ওঁর আসন ফাঁকা ছিল।
কলকাতা: রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডেও (Republic Day Parade Red Road) এবার আমন্ত্রণ-বিতর্ক। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা হল না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে, এমনই খবর এএনআই সূত্রে। এই প্রথমবার আমন্ত্রণ পেলেন না বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari), খবর এএনআই সূত্রে। বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি অনুষ্ঠানে। কোভিড বিধির জেরে সর্বোচ্চ ৬০ জন হাজির অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্য ও স্বরাষ্ট্রসচিব।
এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'স্বাধীনতার পর এই প্রথম হল। গত বছর কোভিডের মধ্যেও আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন আবদুল মান্নান। সরকারের পক্ষ থেকে কার্ড ও ফোন পেয়েছিলেন। আমার মনে হয়েছে, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আমার কাছে হেরেছেন, সেই যন্ত্রণা থেকে আমাকে তিনি ডাকতে দেননি। তাঁর নির্দেশেই এটা হয়েছে। ক্যান্সারেরও কেমো বেরিয়েছে। কিন্তু হিংসার কোনও ওষুধ বেরোয়নি। আমার কাছে হারের জন্য ওঁর হিংসা।চিরদিনই তো লেখা থাকবে-হেরেছি, হেরেছি, হেরেছি।'
আমন্ত্রণ বিতর্ক সম্পর্কে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ঠিক জানি না। তবে উনি আসেন না। গত ১৫ অগাস্টের অনুষ্ঠানেও দেখেছি, ওঁর আসন ফাঁকা ছিল।
এই বিতর্কে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেছেন, বিরোধী দলকে কীভাবে ও কতটা সম্মান দিতে হয়, সেই চিন্তাধারার ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মনোভাব একই রকম। দুটি সরকারই বিরোধীদের মর্যাদা দেয় না।
অন্যদিকে, শুভেন্দুকে আমন্ত্রণ না জানানোর নিন্দা করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দলকে স্থান দেওয়া হচ্ছে না। যে হারিয়েছে, গণতন্ত্রে তাকে সম্মান দেওয়া উচিত। এর থেকেই প্রমাণিত হয় পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই, রাজ্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন রয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল বিধানসভায় আম্বেদকরের ছবিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় রাজ্যের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন। বলেন, অধ্যক্ষ ভবিষ্যতে রাজ্যপালকে ব্ল্যাকআউট করলে, তাঁকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে।' বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে এভাবেই অধ্যক্ষকে আক্রমণ করলেন রাজ্যপাল। পাল্টা রাজ্যপালের আচরণকে অসৌজন্যমূলক বলে অভিহিত করেছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।