SSC Case: 'দুর্নীতি না করেও দায় নিতে হল, সংসার-বাচ্চা আছে চালাবো কী করে'? প্যানেল বাতিলে কান্নায় ভাঙলেন চাকরিপ্রাপকরা
SSC Verdict: সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ২০১৬-এর চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের বক্তব্য, '১০ বছর আগে পরীক্ষা দিয়েছিলাম কী করে জানব যে সেই সময় দুর্নীতি হয়েছে'

কলকাতা: আলাদা করা গেল না যোগ্য-অযোগ্যদের। হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত। SSC-র ২০১৬-র পুরো প্যানেল বাতিল করল, সুপ্রিম কোর্ট। বাতিল হল ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি। নিয়োগে ব্যাপক পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছে, 'যাঁরা অন্য সরকারি দফতর থেকে এখানে এসেছিলেন, তাঁরা পুরানো জায়গায় যোগদান করতে পারবেন। ৩ মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে'।
এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ২০১৬-এর চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের বক্তব্য, '১০ বছর আগে পরীক্ষা দিয়েছিলাম কী করে জানব যে সেই সময় দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতির মাশুল দিতে হল যোগ্যদের। অন্যায় করল অন্যরা আর চরম দায় নিতে হচ্ছে আমাদের। দুর্নীতি না করেও দায় নিতে হল, সংসার-বাচ্চা আছে চালাবো কি করে।'
আরেক চাকরি প্রাপকের কথায়, 'যোগ্যরাও আজ পথে বসল। এরকম দুর্নীতি দেশে বেনজির। কিন্তু আমাদের কী হবে? কেন দুর্নীতির জাঁতাকলে আমরা পড়ব? বাড়িতে বাচ্চা আছে, বৃদ্ধ মা বাবা আছে, কীভাবে সংসার চালাবো? কেন এতদিন ধরে চাকরি করার পর আমরা ভুক্তভোগী হব?'
উল্লেখ্য, গতবছর ২২ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল ঘোষণা করে। ফলে চাকরি যায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। যাঁরা মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন, যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার, SSC এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় চাকরিহারাদের একাংশও। সেই মামলার শুনানিতে গত ১৯ ডিসেম্বর, সর্বোচ্চ আদালতে একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি জানি না যে, 'ডাল মে কুছ কালা হ্যায়, ইয়া সব কুছ হি কালা হ্যায়? প্রধান বিচারপতি আরও জানতে চান, রাজ্য সরকারের অবস্থান কী? রাজ্য সরকার কি মনে করে যে, বৈধ-অবৈধ চাকরি প্রাপকদের আলাদা করা সম্ভব, না কি সম্ভব নয়? উত্তরে বৈধ-অবৈধ আলাদা করা সম্ভব বলে, জানায় রাজ্য সরকার।






















