Kolkata Rain Update : ভয়াল বৃষ্টি, ডুবছে শহর, আরও বড় দুর্যোগের আশঙ্কায় কমলা সতর্কতা জারি এইসব এলাকায়
পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে কখনও এত পরিমাণ বৃষ্টি নথিবদ্ধ হয়নি।

অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা : ভয়াবহ পরিস্থিতি সারা শহরে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একের পর এক মৃত্যু সারা কলকাতায়। তবে আরও বড় আতঙ্কের খবর শোনাল আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২ থেকে ৩ ঘন্টায় আসছে ভয়াল বৃষ্টি। পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কিছু অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি নামছে।
ষষ্ঠী থেকে দশমী, পুজোর প্রত্যেকটা দিনই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পুজোর মুখে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। যার প্রভাবে, পুজোয় দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে চলবে বৃষ্টি। সেই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবেই কি এমন ভয়ঙ্কর দুর্যোগ? সকলে আবহাওয়া দফতরের বুলেটিনের দিকে তাকিয়ে।
আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, ২৫ থেকে ২৬ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ। যার প্রভাবে ২৭ সেপ্টেম্বর পঞ্চমী থেকে ২৯ শে সেপ্টেম্বর সপ্তমী পর্যন্ত রাজ্যের সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস করা হয়েছিল। কিন্তু ২৩ সেপ্টেম্বরই এমন ভয়াল বৃষ্টির অভিজ্ঞতা হল কলকাতার। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ৩০ শে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ অষ্টমী থেকে বাড়তে পারে বৃষ্টির পরিমাণ। নবমী ও দশমীতে হতে পারে ভারী বৃষ্টি। তা কি হতে পারে আরও ভয়ঙ্কর ? প্রমাদ গুণছে মানুষ।সব মিলিয়ে, পুজোর দিনগুলিতে দক্ষিণবঙ্গবাসীর দোসর হতে চলেছে ছাতা-রেনকোট।
জলযন্ত্রণা আরও বাড়বে ? ডুববে শহর?
এরই মধ্যে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে আরও একটি বিষয়। জল নামার জন্য ভোর চারটে থেকে গঙ্গার সব লকগেট খোলা হয়েছে। কিন্তু দুপুর ১২টায় আবার লকগেট বন্ধ করা হবে। ফলে ওই সময় ফের ভারী বৃষ্টি হলে জলযন্ত্রণা আরও বাড়বে।
কোথায় কত বৃষ্টি ?
এমন তুমুল একটানা বৃষ্টি সাম্প্রতিক সময়ে দেখেনি শহর কলকাতা ও শহরতলি। ৫ ঘণ্টায় রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। কলকাতা পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে কখনও এত পরিমাণ বৃষ্টি নথিবদ্ধ হয়নি। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে গড়িয়ার কামডহরিতে, ৩৩২ মিলিমিটার। এরপর যোধপুর পার্কে ২৮৫ মিলিমিটার, কালীঘাটে ২৮০ মিলিমিটার, তপসিয়ায় ২৭৫ মিলিমিটার। ভোর চারটে থেকে গঙ্গার সব লকগেট খোলা হয়েছে। কিন্তু দুপুর ১২টায় আবার লকগেট বন্ধ করা হবে। ফলে ওই সময় ফের ভারী বৃষ্টি হলে জলযন্ত্রণা আরও বাড়বে।























