West Burdwan News: দুর্গাপুরের হাসপাতাল থেকে কয়েক লক্ষ টাকার যন্ত্রাংশ পাচারের চেষ্টার অভিযোগ, ধৃত ক্যান্টিন পরিচালক
West Burdwan News Update: কেন্দ্রের পরিচালনাধীন দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে CISF। সন্দেহ হওয়ায়, প্রথমে ক্যান্টিন পরিচালককে আটক করেন কেন্দ্রীয় জওয়ানরা। পরে পুলিশ গ্রেফতার করে।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দুর্গাপুর স্টিল প্লান্ট হাসপাতালের (Durgapur Steel Plant Hospital) ক্যান্টিনের গুদাম থেকে কয়েক লক্ষ টাকার যন্ত্রাংশ পাচারের চেষ্টার অভিযোগ। CISF-এর হাতে আটক ক্যান্টিন পরিচালক। পরে তাঁকে গ্রেফতার করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ(Durgapur Police Station)। অনুমতি ছাড়াই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল যন্ত্রাংশ, অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
ট্রাক থেকে নামানো হচ্ছে বাতানুকূল যন্ত্র, পাম্প, ফ্রিজার, আলমারি, খাবার পরিবেশনের ট্রলি। সবই পুরনো, পরিত্যক্ত। এই দৃশ্য দেখেই এক ব্যক্তিকে ঘিরে ধরে পুলিশ ও CISF-এর আধিকারিকরা জানতে চান, “কোন ডিপার্টমেন্টের জিনিস? কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?’’ রবিবার সকালের এই ছবি দেখা যায় পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালের সামনে। কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের ক্যান্টিনের গুদাম থেকে লক্ষাধিক টাকার যন্ত্রাংশ পাচারের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ক্যান্টিন পরিচালকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ছুটির দিন গেটপাস না করিয়েই এই সমস্ত জিনিস হাসপাতালের বাইরে পাঠানোর চেষ্টা করছিলেন ক্যান্টিন পরিচালক মিল্টন সেন।
কেন্দ্রের পরিচালনাধীন দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে CISF। সন্দেহ হওয়ায়, মিল্টনকে প্রথমে আটক করেন কেন্দ্রীয় জওয়ানরা। পরে দুর্গাপুর থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ধৃতের স্ত্রীয়ের দাবি, পুরনো যন্ত্রাংশ সারাইয়ের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ধৃত মিল্টন সেনের স্ত্রী মোনালিসা সেন বলেন, “আমি মাঝে মাঝে দেখাশোনা করতাম। কোথায় যাচ্ছিল জানি না। যেটুকু শুনেছি রিপেয়ারিংয়ে যাওয়ার কথা। আবার ফিরে আসার কথা ছিল।‘’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, পুরনো সরঞ্জাম মেরামত করা বা তার জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালের প্রশাসক (মেডিক্যাল ও হেলথ সার্ভিস) গৌতম গুপ্ত বলেন, “আমার কাছে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। হাসপাতালের কর্মী মারফত জানতে পেরে মাল সহ ট্রাক আটকানোর নির্দেশ দিই। পুলিশকে জানাই।‘’ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির মদতে পাচার চক্র চলছে বলে দাবি দুর্গাপুর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রাজীব ঘোষ। পাল্টা জেলা বিজেপির সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত বলেন, “বিজেপির কেউ যুক্ত নয়। INTTUC-র লোকজন যুক্ত। সবাইকে চোর ভাবে। তাই আমাদের দিকে আঙুল তুলছে।‘’