West Bengal School Reopen: কোভিড বিধি মেনে স্কুল খোলার আর্জি, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি শিশু চিকিৎসকদের গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানের
School Reopen: কোভিড বিধি (Covid19) মেনে স্কুল খোলার আর্জি জানিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) খোলা চিঠি দিল ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিকস্ (West Bengal Academy of Pediatrics)।
কলকাতা: কোভিড বিধি (Covid19) মেনে দ্রুত স্কুল খোলার আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে (CM Mamata Banerjee) খোলা চিঠি দিল রাজ্যের শিশু চিকিৎসকদের (Child Specialist) একটি গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান। পড়ুয়াদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য দ্রুত ধাপে ধাপে স্কুল খোলার আর্জি জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে। স্কুল খোলার দাবিতে এদিনও পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিরোধী শিবিরের একাধিক ছাত্র সংগঠন।
কোভিড বিধি মেনে অবিলম্বে স্কুল খোলার আর্জি জানিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিল ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিকস্ (West Bengal Academy of Pediatrics)। রাজ্যের শিশু চিকিৎসকদের গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানটির তরফে যে খোলা চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাতে স্কুলপড়ুয়াদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য দ্রুত ধাপে ধাপে স্কুল খোলার পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে। পুরোটাই কোভিড বিধি মেনে স্কুল খোলার কথা বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।
করোনার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউয়ের কারণে প্রায় ২ বছর ধরে রাজ্যে বন্ধ রয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কেন তাঁরা স্কুল খোলার আর্জি জানাচ্ছেন, তার পক্ষে একাধিক যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিকস-এর খোলা চিঠিতে। লেখা হয়েছে, করোনাকালে প্রায় দু’বছর ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় শিশু মনের বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। বন্ধুদের সঙ্গে পারস্পরিক মেলামেশা, খেলাধূলায় অংশগ্রহণ না থাকায়, নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিশুমনে। বহু শিশুর আচরণে পরিবর্তন নজরে এসেছে। ভবিষ্যত প্রজন্মের মধ্যে তৈরি হচ্ছে মানসিক সমস্যা। অনলাইন ক্লাস কিছু জায়গায় হলেও, গ্রাম ও শহরাঞ্চলে বহু ক্ষেত্রেই তা কার্যকর করা যাচ্ছে না।
এর পাশাপাশি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়েছে, কোভিড ১৯-এ মৃদু উপসর্গ থাকছে শিশুদের। রাজ্যে আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র ২.৫ থেকে ৩ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে কোনও শিশুর মৃত্যু হয়নি। শিশু চিকিৎসকদের মত, কোভিড বিধি মেনে স্কুল খুললে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে বলে তাঁরা মনে করেন না। তবে হাইরিস্ক চিলড্রেনদের ব্যক্তিগত চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে স্কুলে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।