West Burdwan: দুর্গাপুরে মৌমাছির কামড়ে মৃত্যু এক ব্যক্তির, আতঙ্কে এলাকাবাসী
West Burdwan: দুর্গাপুরে এই ঘটনায় আতঙ্ক এলাকা জুড়ে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মী নেই, ফলে স্থানীয়দেরই কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বন দফতর।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: মৌমাছির কামড়ে আতঙ্কিত এলাকার মানুষ মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। আক্রান্ত অনেকজন। দুর্গাপুরে এই ঘটনায় আতঙ্ক এলাকা জুড়ে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মী নেই ফলে স্থানীয়দেরই কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বন দফতর।
এরইমধ্যে ব্যাঙ্কের কাজ সেরে ঘরে আসার পথে মৌমাছির কামড়ে মৃত্যু হল এক ব্যাক্তির। বছর ৭৫-এর সেই ব্যক্তি দুর্গাপুরের রাষ্ট্রয়ত্ব সংস্থা বি. ও. জি
এলের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক। মৃতের নাম দুয়ারী প্রসাদ সিং বলে জানা গেছে। গতকাল সোমবার ব্যাঙ্কের কাজ সেরে নিউটাউনশিপ থানার অন্তর্গত বিওজিএল টাউনশিপের বাসিন্দা দুয়ারী প্রসাদ সিং নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। দুর্গাপুর সরকারি মহাবিদ্যালয়ের সামনে হঠাৎই মৌমাছির দল তাঁকে ঘিরে ধরে। যন্ত্রনায় ছটফট করতে করতে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন সেই ব্যক্তি। এরপর স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসকরা দুয়ারী প্রসাদ সিংকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গোটা ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে শহর দুর্গাপুরে। এর আগেও বেশ কয়েকজনকে মৌমাছি কামড়েছে বলে জানা গেছে, কিন্তু দুয়ারী প্রসাদ সিংয়ের মৃত্যু ব্যাপক আতঙ্ক গ্রাস করেছে গোটা এলাকাকে।
এদিকে দুর্গাপুরের অন্য একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনায় এক অধ্যাপকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ঘটনায় বিড়ম্বনায় পড়েছে অধ্যাপকের পরিবার।
দুর্গাপুরের ডক্টর প্রদীপ কুমার দাস। কাঁকসার গোপালপুর উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের বিভাগীয় প্রধান। অধ্যাপক দাস পড়েছেন এক বিড়ম্বনায়। গত ১৭ তারিখ রাত সাড়ে ৯টায় যখন প্রদীপবাবু ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছিলেন তখন তিনি বেশ কয়েকজন ফেসবুক ফ্রেন্ডের ফোন পান। যাঁরা কত টাকা দরকার, এই বলে ফোন করেন অধ্যাপককে। প্রথমটা কিছুটা ভয় পেয়ে যান অধ্যাপক। পড়ে সব কিছু দেখে চক্ষু চড়কগাছ তাঁর। ফেসবুক ফ্রেন্ড মারফত প্রদীপবাবু জানতে পারেন, ম্যাসেঞ্জার মারফত তিনি তাঁর বন্ধুদের কাছে বিপদে পড়ে গেছি বলে টাকা চাইছেন। কারও কাছে ৫০০০ টাকা চাওয়া হয়েছে, কারও কাছে ১২০০০, আবার কারও কাছে টাকার অঙ্কটা আরও বেশি। এই করতে করতে যখন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জনের মতো ফেসবুক ফ্রেন্ড অধ্যাপক ডক্টর প্রদীপ কুমার দাসের কাছে সাহায্যের কথা জানিয়ে ফোন করেন তখন তিনি আশ্রয় নেন স্থানীয় কাঁকসা থানার।