West Midnapore: হ্যাক? জেলা সিপিএমের ফেসবুক পেজ থেকে পরপর আপলোড হচ্ছে ভিডিও গেম
জেলা নেতৃত্বের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ, যেখানে এতদিন প্রচারের পাশাপাশি, দলের বিভিন্ন কর্মসূচির বিষয় তুলে ধরা হত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে, তা আরও জোরদার করার পরিকল্পনাও ছিল।
সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: হ্যাক (Hacked) করা হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে (West Midnapore) জেলা সিপিএমের (CPM) ফেসবুক পেজ (Facebook Page)। আপলোড করা হচ্ছে ভিডিও গেম । পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে দলের তরফে । মানুষের কাছে সিপিএমের (CPM) গুরুত্ব নেই। কটাক্ষ করেছে তৃণমূল (tmc) ও বিজেপি (BJP) ।
জেলা নেতৃত্বের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ (Official Facebook Page), যেখানে এতদিন প্রচারের পাশাপাশি, দলের বিভিন্ন কর্মসূচির বিষয় তুলে ধরা হত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে, তা আরও জোরদার করার পরিকল্পনাও ছিল । কিন্তু, গত ১৩ এপ্রিল থেকে দলের তরফে কেউ কোন পোস্ট করতে পারছেন না এই ফেসবুক পেজে (Facebook Page) । উল্টে পোস্ট হয়ে যাচ্ছে ভিডিও গেম (Video Game)! এসব দেখেই, দলের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Midnapore) জেলা সিপিএম (CPM) নেতৃত্ব । মেদিনীপুরের সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগও জানানো হয়েছে দলের তরফে ।
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ফেসবুক পেজ (Facebook Page Hacked) হ্যাক হওয়ায়, সিপিএমের (CPM) জেলা নেতৃত্ব যখন বেশ সমস্যায় পড়েছে, তখন অন্যদিক থেকে আবার এই নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (bjp) ।
মেদিনীপুর (Midnapore) সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুজয় হাজরার কথায়, সিপিএমকে (CPM) যেমন বাংলার মানুষ চাইছে না, আমার মনে হচ্ছে সিপিএমকে ফেসবুক কোম্পানিও পছন্দ করছে না। কারণ সিপিএম মানেই গণহত্যা, সিপিএম মানেই রক্ত, সিপিএম (CPM) মানেই ঘর লুট।
মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরির (Ram Prasad Giri) কথায়, সিপিএমকে (cpm) বাংলার মানুষ ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। সিপিএম ফেসবুকে বেঁচে ছিল। এখন ফেসবুকও সিপিএমকে পছন্দ করছে না । এটাতে আর কি বলা যাবে?
অভিযোগ, জেলা CPM-এর ফেসবুক অ্যাকাউন্টের (Facebook Account) আগে, তাদের ছাত্র সংগঠন SFI-এর জেলা নেতৃত্ব। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের SFI ইউনিট এবং SFI-এর মেদিনীপুর (Midnapore) কলেজ ইউনিটের ফেসবুক অ্যাকাউন্টও হ্যাক হয়েছে । ৯ এপ্রিল থেকে অকেজো রয়েছে সেই পেজগুলি (Facebook Page) । SFI-এর তরফেও পুলিশে অভিযোগ দায়ের (FIR) করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন: Jibankrishna Saha Update: স্কুলে উপস্থিতি বরাবরই অনিয়মিত, কেমন ছিল ধৃত তৃণমূল বিধায়কের শিক্ষক জীবন?