West Midnapore: বিধি না মানলে কড়া রেল, মাস্ক ছাড়া খড়গপুর স্টেশন চত্বরে ঘুরলেই দিতে হচ্ছে জরিমানা
West Midnapore News: রাজ্যজুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা সংক্রমণ। তার মধ্যেও মিলেছে অসচেতনতার ছবি। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে সকালে খড়গপুর স্টেশনে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে জিআরপি প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ঘোরেন।
বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কড়া প্রশাসন। বিনা মাস্কে (Mask) খড়গপুর স্টেশন (Kharagpur Station) চত্বরে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেলে, দিতে হবে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা (Fine)। রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয় সেই প্রক্রিয়া। এদিন খড়গপুর স্টেশন চত্বরে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সচেতনতা ছড়ানোর পাশাপাশি যাত্রীদের জরিমানাও করল রেল।
রাজ্যজুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা সংক্রমণ। সংক্রমিতের সংখ্যা প্রত্যেক দিন ধরাছোঁয়ার বাইরে যাওয়ার জোগাড়। কিন্তু তার মধ্যে নজরে পড়ছে অসচেতনতার ছবি। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে আজ সকালে খড়গপুর স্টেশনে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে জিআরপি প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ঘোরেন। মাইকেও সচেতন করতে শোনা যায় তাঁদের। যাত্রীদের করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে মাস্ক পরার দিকে জোর দেন। এদিন সচেতনতামূলক প্রচারে খড়গপুর জিআরপির সঙ্গে ছিলেন রেলের টিকিট পরীক্ষক। যে সমস্ত রেল যাত্রীদের বিনা মাস্কে স্টেশন চত্বরে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়, তাঁদের হাতে মাস্ক তুলে দিয়ে সচেতন করার পাশাপাশি জরিমানাও করা হয়।
করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেই জারি করা হয়েছে নানা ধরনের বিধিনিষেধ। একইসঙ্গে জোর দেওয়া হয়েছে মাস্ক ব্যবহারের উপর।
করোনার (Coronavirus) বাড়বাড়ন্তে রাশ টানতে ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরেও (Durgapur) শুরু হল কনটেনমেন্ট জোন (Containmnet Zone) ঘোষণা। একইসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে জনবহুল বেনাচিতি বাজারে জোড় ও বিজোড় পদ্ধতিতে দোকান খোলা হবে।
কোভিড সংক্রমণ ফের মহামারীর আকার ধারণ করেছে সারা রাজ্যে। বাদ পড়েনি পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরও। ফলে আজ থেকেই দুর্গাপুর নগর নিগম এলাকার বেশ কিছু জায়গা কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করল জেলা প্রশাসন। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের অম্বুজা, রিকল পার্ক, সেন্ট্রাল পার্ক, উদয় শঙ্কর বীথি এবং ইস্পাত নগরীর অশোক অ্যাভিনিউ, রানা প্রতাপ, শিবাজী রোড এলাকাগুলিকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যেভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে উদ্বেগ বাড়ছে সরকারের। দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজার বা দোকান খোলার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়েছে। সকাল ছ'টা থেকে সন্ধ্যা ছটাট পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার আবেদন জানানো হয় দুর্গাপুর চেম্বার অফ কর্মাসকে। এছাড়াও প্রতিদিন বিজোড় সংখ্যায় দোকান খুলতে হবে। দুর্গাপুর মহকুমা শাসক, দুর্গাপুর পুরসভার কমিশনার, পুলিশ এবং চেম্বার অফ কর্মাসের ভার্চুয়াল আলোচনার মাধ্যমে ঘোষণা করে প্রশাসন। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা গত পরশু ছিল ৯১৯ জন, গতকাল সেই সংখ্যাই বেড়ে দাঁড়ায় ১০৪৩ জন। অর্থাৎ প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যাও আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।