West Midnapore: দুদিনের টানা বৃষ্টিতে নারায়ণগড়ের একাধিক গ্রাম জলের তলায়, ক্ষতির আশঙ্কা কৃষকদের
বিঘার পর বিঘা ধান জমি জলের তলায় মাথায় হাত কৃষকদের...
অমিত জানা, কলকাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকে দুদিনের টানা বৃষ্টির জেরে একাধিক গ্রাম জলের তলায়। তার মাঝে আবার কোথাও মিনি টর্নেডো। লন্ডভন্ড গাছ থেকে ঘরবাড়ি।
আজ সকাল থেকে বৃষ্টি থামলেও জল যন্ত্রণার অবস্থা থেকে রেহাই পাননি গ্রামবাসীরা। কেউ আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণশিবিরে। আবারও কেউ জাতীয় সড়কের ধারে তাঁবু খাটিয়ে। বিঘার পর বিঘা ধান জমি জলের তলায় মাথায় হাত কৃষকদের। ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
জমির চোখের জল নিকাশি করতে কোথাও কোথাও গ্রামীণ সড়ক যোজনা পিচের রাস্তা কেটে জল বার করছেন গ্রামবাসীরা।
অশোক কুমার জানা বলেন, একটানা বৃষ্টির জন্য জলমগ্ন হয়ে গেছে। ঘরবাড়ি ডুবে গেছে ফসলের জমি ৫০০ থেকে ৬০০ বিঘা জলের তলায় চলে গেছে। পিচের রাস্তা কেটে জল বার করা হয়েছে তাও জল কমছে না। এবং স্কুলে মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
এদিকে, গতকাল হঠাৎই মাঝ মাঠের মধ্যে শুরু হয় মিনি টর্নেডো। সেই সময় মদন মোহন চকে বাজারের ওপর বেশ কিছু দোকানপাট ভেঙে গুড়িয়ে দেয় এই দমকা হওয়া। যদিও এই ঘূর্ণিঝড়ের স্থায়িত্ব বেশিক্ষণ হয়নি, কিন্তু বেশকিছু গাছপালাও ভেঙে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বরাড়, জামদি, কলাবনি, দৈশন্ডার পাশাপাশি নারায়ণগড়েও দেখা গিয়েছে এমন ঝড়। স্থায়ীত্ব ছিল ১ মিনিটেরও কম।
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্থানীয়ভাবে তৈরি হওয়া হাওয়ার এই ধরনের ঘূর্ণনকে মেসো টর্নেডো বলে। কোনও এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ তৈরি হলে সেখানে মিনি টর্নেডো অনেক সময় দেখা যায়।
নারায়ণগড়ে ঝড়ে স্বল্প সময়ের ঝড়ে ভেঙে পড়ে বাড়িঘর, গাছপালা। হাতির শুঁড়ের মতো নেমে আসা ঘূর্ণায়মান বাতাসের স্তম্ভ। এলোমেলো করে দেয় গাছপালা।
ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে নন্দ স্থানীয় দুলাল মাইতি বলেন, ভয়ঙ্কর শব্দ করে একটা ঝড় আসে জল প্রায় ১০০ ফুট উঁচুতে উঠতে থাকে। সেকেন্ডের মধ্যে আমাদের গ্রামের গাছপালা ঘরবাড়ি ক্ষয়ক্ষতি করে দেয়। আমাদের একটি হাট রয়েছে। হাটের চালার সমস্ত সেড রয়েছে সেই শেডগুলি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। বেশকিছু ঘরবাড়ির ক্ষতি করে দিয়ে চলে যায়।