Ghatal News: ইংরেজিতে এম এ পাস, পেশায় চোর !
West Midnapore Theft News : অভিযুক্তের নাম সৌমাল্য চৌধুরী। সে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে নাকি এমএ পাস ! শুধু তাই নয়, সে নাকি আবার খড়গপুর এর দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে কর্মী ।
সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: চাকরিতে মন টেকেনি। তাই নাকি চুরির প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। হাওড়ার আন্দুলের পর এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে চুরির অভিযোগে গ্রেফতার এমএ পাশ।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম সৌমাল্য চৌধুরী। সে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে নাকি এমএ পাস ! শুধু তাই নয়, সে নাকি আবার খড়গপুর এর দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে কর্মী । সব দেখে শুনে অবাক পুলিশ আধিকারিকরা। শুধু তাই নয়, বেশ ভাল পারিবারিক প্রেক্ষাপটও আছে সৌমাল্যর। তার বাবা পূর্ত দপ্তরের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী । তারা থাকত আসানসোলে। সেখান থেকেই তার বাবা বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে রেলওয়ে অস্থায়ী এক কর্মী হিসাবে সৌমাল্যর কাজের ব্যবস্থা করে দেন। সেই কাজ নাকি সৌমাল্যর আর ভাল লাগছিল না। আর তারপরে সে আসানসোলে থাকার সময় চুরির প্রশিক্ষণ নয় এলাকারই এক যুবকের কাছ থেকে। এখন পর্যন্ত সে ১৭০টি চুরি করেছে । এমনকি কয়েক মাস কয়েক আগে হাওড়া আন্দুলের একটি ফ্ল্যাট থেকে ১০ লক্ষ টাকা সোনার গয়না চুরি করায় সৌমাল্যকে পাঁশকুড়া থেকে গ্রেফতার করে সাঁকরাইল থানার পুলিশ ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সৌমাল্যকে জিজ্ঞাসা করে তারা এও জানতে পেরে যে সৌমাল্য এক মানসিক রোগে আক্রান্ত । রোগের জন্যই সে চুরিকেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছে । এদিন ঘাটাল আদালতে তোলা হলে আদালত পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় অভিযুক্তকে। ঘাটাল থানার পুলিশ সূত্রে খবর জেরা করে জানতে চাওয়া হচ্ছে এই ঘটনায় আরও কে কে জড়িত আছে।
আরও পড়ুন :
চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা আক্রান্ত, বন্ধ হয়ে গেল শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের আউটডোর
দিনে-দুপুরে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীর বাড়ির একাধিক চাবি ভেঙে লক্ষাধিক টাকার অলংকার চুরি যায় । চুরির অভিযোগ দায়ের করা হয় ঘাটাল থানায়, সি সি ক্যামেরার ছবি দেখে চুরির তদন্ত শুরু করে ঘাটাল থানার পুলিশ।
ঘাটাল পৌরসভা ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কোন্নগরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন ঘাটাল বিদ্যুৎ দপ্তরে এক মহিলা কর্মী মহাশ্বেতা দে। অভিযোগ, বাড়িতে চাবি দিয়ে তিনি গিয়েছিলেন বিদ্যুৎ দফতরে। অফিস থেকে ফিরে দেখেন বাড়ির তালা ভাঙা। ঘরের ভিতর থাকা লক্ষাধিক টাকার গয়না খোয়া যায়। ঘাটাল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মহাশ্বেতা দেবী। মহিলার অভিযোগ পেয়ে ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী ও ঘাটাল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার দেবাংশু ভৌমিক পৌঁছে যান মহিলার বাড়িতে। ওই বাড়ির সামনে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এবং রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর মেচগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে।