West Midnapur: ব্যক্তি স্বার্থে সাংগঠনিকভাবে বাড়ানো হয়েছিল ব্লকের সংখ্যা, অভিযোগ জেলা কংগ্রেস সভাপতির
পশ্চিম মেদিনীপুরে সাংগঠনিক ব্লকের সংখ্যা ৩৪ থেকে কমিয়ে ২৪ করেছে কংগ্রেস। আর এই নিয়েই এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন দলের জেলা সভাপতি সমীর রায়।
সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: দলের সংবিধানকে অগ্রাহ্য করে, ব্যক্তি স্বার্থে সাংগঠনিকভাবে বাড়ানো হয়েছিল ব্লকের সংখ্যা। এমনই অভিযোগ করলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি। অভিযোগের তির তৎকালীন জেলা কংগ্রেস সভাপতি ও প্রদেশ সভাপতির বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে দু’জনেই এখন তৃণমূলে।
পশ্চিম মেদিনীপুরে সাংগঠনিক ব্লকের সংখ্যা ৩৪ থেকে কমিয়ে ২৪ করেছে কংগ্রেস। আর এই নিয়েই এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন দলের জেলা সভাপতি সমীর রায়। তাঁর অভিযোগ, ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষা করতে, অতীতে সাংগঠনিক ব্লকের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছিল। এই কাজ যখন হয়েছে, তখন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি ছিলেন নির্মল ঘোষ।
আর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন মানস ভুঁইয়া। পশ্চিম মেদিনীপুরের কংগ্রেস জেলা সভাপতি সমীর রায়ের কথায়, যতগুলো ব্লক থাকবে, ততগুলো পিসিসি মেম্বার থাকবে। ৮টা পিসিসি মেম্বার থেকে একটা এআইসিসি মেম্বার হয়। ব্যক্তিগত স্বার্থে কিছু ব্যক্তি নেতা বানিয়ে দিতে এই কাজ করা হয়েছিল। নির্মল ঘোষ ও মানস ভুঁইয়ার আমলে হয়েছে।
যাঁদের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিযোগ তুলছেন, তাঁর দু’জনই এখন তৃণমূলে। মানস ভুঁইয়া বর্তমানে তৃণমূল সরকারের জলসম্পদ ও ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী। আর নির্মল ঘোষ তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। প্রাক্তন সতীর্থর তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দু’জনই। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও বর্তমানে রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমান কংগ্রেসের নেতারা অজ্ঞ। নিয়ম জানেন না। সাংগঠনিকভাবে ব্লকের সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষমতা থাকে AICC-র। প্রদেশ সভাপতির হাতে এরকম কোনও ক্ষমতা থাকে না। উনি শুধু প্রস্তাব দিতে পারেন।
মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরার কথায়, ১১ বছর পর হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন? আদতে দলটার দায়িত্ব নেওয়ার কেউ নেই। তাই এই সব কথা বলে শুধু শুধু বাজার গরম করার কোন যুক্তি নেই। ১৭ এপ্রিল মেদিনীপুরে প্রদেশ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বৈঠক করে সাংগঠনিকভাবে ব্লকের সংখ্যা কমানো হয়। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে এই বিতর্ক।
ব্লক বাড়ানো তরজা