(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
West Midnapur: কেশিয়াড়ির গ্রামে আছড়ে পড়ল টর্নেডো! আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা
আজ দুপুর বেলা কেশিয়াড়ি ব্লকের ৮ নম্বর লালুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বরাড় গ্রামে হঠাৎ শুরু হয় প্রচণ্ড ঝড়।
অমিত জানা, (কেশিয়াড়ি) পশ্চিম মেদিনীপুর : গত কয়েকদিন প্রবল বৃষ্টির চলছে গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে,যার জেরে বেশকিছু এলাকাও জলমগ্ন হয়েছে। টানা বৃষ্টিজনিত বিপর্যয় মোকাবিলায় যখন প্রশাসনের প্রস্তুতি তুঙ্গে ঠিক তখনই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়িতে আছড়ে পড়ল টর্নেডোর। আজ দুপুর বেলা কেশিয়াড়ি ব্লকের ৮ নম্বর লালুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বরাড় গ্রামে হঠাৎ শুরু হয় প্রচণ্ড ঝড়। প্রায় অনেকেই এই ঝড়টিকে ক্যামেরাবন্দি করেছেন এবং সেখান থেকে পাওয়া চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে ঝড়টি টর্নেডোর আকার নিয়েছিল। যদিও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা।
গতকালই টর্নেডোর ধাক্কায় লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া ব্লকের শালিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তালবেড়িয়া গ্রামে । এক মিনিটের টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বেশ কিছু বাড়ি। ভেঙে পড়েছিল বিদ্যুতের খুঁটিও। আচমকাই ১ মিনিটের ঝড় বয়ে গিয়েছিল তালবেড়িয়া গ্রামের উপর দিয়ে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা এই ঝড়ের তীব্রতা দেখে হকচকিয়ে পড়েন। একদিকে টালির চাল ও টিনের ছাদ উড়ে গিয়ে অন্যত্র গিয়ে পড়ে, অন্যদিকে গাছ উপড়ে রাস্তার ওপর পড়ে। ঘটনাস্থলে হাড়োয়ার বিডিও সমীর রঞ্জন মান্না ও পুলিশ প্রশাসন গিয়েছিলেন। এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পুরোপুরি জানা যায়নি এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিলেন বলে খবর।
গত জুলাই মাসের শেষের দিকে নিম্নচাপের জেরে দুর্যোগের মধ্যেই সন্ধে ছটা নাগাদ আচমকা ডায়মন্ড হারবার ও হলদিয়ার মাঝামাঝি হুগলি নদীর উপর মিনি টর্নেডো দেখা গিয়েছিল। নিম্নচাপের জেরে ওইদিন সকাল থেকে মেঘে ঢেকেছিল আকাশ ছিল আকাশ। এরমধ্যে বিকেলে নাগাদ হুগলি নদীর উপর কালো মেঘ দলা পাকাতে শুরু। যা দেখতে ছিল একেবারে হাতির শুঁড়ের মতো। নদীর জল পাক খেয়ে আকাশের দিকে উঠতে দেখা যায়। আচমকা টর্নেডোর জেরে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয় ডায়মন্ডহারবার জুড়ে। এই মিনি টর্নেডো স্থায়ী হয়েছিল প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মতো।