Guwahati-Bikaner Express Accident: উত্তরবঙ্গে ট্রেন দুর্ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে? প্রাথমিক তদন্তে মিলল তথ্য
Guwahati-Bikaner Express Accident: এই ইঞ্জিন ছিল ওয়াপ ফোর ক্যাটিগরির। এতে চারটি করে ট্র্যাকশন মোটর থাকে। ২০১৫-তেই যার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।
অর্ণব মুখোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ময়নাগুড়ির দোমহনিতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে? আপ বিকানের এক্সপ্রেসের (Bikaner Express) লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় ইঞ্জিনের (Engine) যে সমস্যা ছিল প্রাথমিক তদন্তে তা স্পষ্ট হয়েছে।
এই ইঞ্জিন ছিল ওয়াপ ফোর ক্যাটিগরির। এতে চারটি করে ট্র্যাকশন মোটর থাকে। ২০১৫-তেই যার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ইঞ্জিনের একটি ট্র্যাকশন মোটর ভেঙে পড়েছিল। তাতেই বিপত্তি ঘটে। ট্র্যাকশন মোটরের ভূমিকা হল এটি ইঞ্জিনের চাকাকে রেল লাইনে (Railway Track) ধরে রাখতে ও চাকাকে ঘোরাতে সাহায্য করে। জানা গেছে, দুর্ঘটনার আগে আপ বিকানের এক্সপ্রেসের গতিবেগ ছিল ৯৫-১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। যদিও, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের সহকারী চালক ট্রাকশন মোটরের সমস্যার কথা মানতে রাজি নন।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিকানের এক্সপ্রেসের সহকারী চালক অভিষেক রোশন (Abhishek Roshan) বলেন, “জার্ক হয়, আমরা এমার্জেন্সি ব্রেক মারি, ট্র্যাকশন মোটরের সমস্যাই নয়।’’ লোকো পাইলট প্রদীপ কুমারের কথায়, “আচমকাই একটা ভীষণ ঝাঁকুনি অনুভব করি। তারপরই এর্মাজেন্সি ব্রেক কষি। পিছনে কী হচ্ছে, আমার পক্ষে জানাটা সম্ভব ছিল না। যখন দেখি, তখন পিছনের ৬ চাকা লাইনচ্যুত হয়েছিল। কারণ আমি গাড়ি চালাচ্ছিলাম। ট্র্যাকশন মোটর খোলা ছিল কিনা, সেটা জানা আমার পক্ষে কোনওপক্ষেই সম্ভব নয়। কী হয়েছে আর কী হয়নি, সেটা এখন তদন্তের পরই জানা যাবে। ট্র্যাকশন মোটর আগেই খোলা ছিল কিনা, সেটা তদন্তেই জানা যাবে।”
এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী (Railway Minister)। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) বলেন, “প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে, ট্র্যাক বা কোচের কোনও সমস্যা নেই, আচমকা যান্ত্রিক ত্রুটির জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। লোকোমোটিভ ইক্যুইপমেন্টে ত্রুটি ছিল, সেটা খুলে পরীক্ষা করতে হবে, রেলের এনকোয়ারি হচ্ছে।’’