JU Student Death: সত্যিই কি শ্রীনগরে গিয়েছিলেন? জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে কী বললেন ছাত্রনেতা?
JU যাদবপুর থানার পর এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির তলব করে অরিত্র মজুমদারকে।
কলকাতা: সত্যিই কি শ্রীনগরে (Srinagar) গিয়েছিলেন অরিত্র? বোর্ডিং পাস জমা রাখল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। 'হস্টেলে র্যাগিং হয় জেনেও কর্তৃপক্ষকে জানাননি কেন?'। তদন্ত কমিটির প্রশ্নের মুখে যাদবপুরের ডিএসএফ ছাত্রনেতা (DSF Leader)। '১০ তারিখ যদি শ্রীনগরে যান তবে ১১ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারে সই কেন?' ছাত্রনেতা অরিত্রকে প্রশ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির। 'একসঙ্গে ৩দিনের সই করতে গিয়ে ভুল করেছি। ৯ অগাস্ট রাতে হস্টেলে যাইনি, বন্ধুর মেসে ছিলাম'। তদন্ত কমিটিকে জানালেন ছাত্রনেতা অরিত্র মজুমদার।
অরিত্র মজুমদারকে তলব: যাদবপুর থানার পর এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির তলব করে অরিত্র মজুমদারকে। আজ সকাল সাড়ে ১১ টায় অরিত্র মজুমদার ওরফে আলুকে তলব করে তদন্ত কমিটি। ৯ তারিখ রাতে তিনি কি হস্টেলে ছিলেন? ঘটনার সঙ্গে তাঁর কি কোনও যোগ ছিল? অরিত্রর কাছ থেকে এইসব বয়ান নেয় অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। গতকালই সন্ধেয় যাদবপুর থানায় হাজিরা দিতে যান DSF-এর প্রভাবশালী নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়েরই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর গবেষণারত পড়ুয়া অরিত্র মজুমদার। গভীর রাত পর্যন্ত যাদবপুর থানায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
হস্টেলে র্যাগিং হয় জেনেও কর্তৃপক্ষকে জানাননি কেন? ১১ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে না গিয়েও কীভাবে ল্যাব-রেজিস্ট্রারে সই করলেন? যাদবপুরে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির এমনই একগুচ্ছ প্রশ্নের মুখে পড়েন ছাত্রনেতা অরিত্র মজুমদার।ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্ট ফ্রন্ট বা DSF-এর প্রভাবশালী নেতা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সংসদ ফেটসু-র সদ্য় প্রাক্তন চেয়ারম্য়ান অরিত্র মজুমদারকে ডেকে বুধবার ২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি।
সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ছাত্র-মৃত্য়ুর পর সোশাল মিডিয়ায় একটি চ্যাট ভাইরাল হয়। যেখানে ছাত্রটি পড়ে যাওয়ার পর নির্দিষ্ট কয়েকজনকে বাঁচাতে জিবি মিটিং ডাকার উল্লেখ ছিল। ভাইরাল হওয়া ওই চ্য়াটে অরিত্র মজুমদার ওরফে আলু-র নামের উল্লেখ ছিল। এর পর থেকেই অরিত্রর ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
এই প্রেক্ষাপটে, পড়ুয়া মৃত্যুর ১২ দিনের মাথায় মঙ্গলবার প্রকাশ্য়ে আসেন তিনি। ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্টও করেন। ফেসবুক পোস্টে এই ছাত্র নেতা দাবি করেন, ৯ আগস্ট রাতে তিনি যাদবপুরের মেন হস্টেলে ঢোকেননি। ১০ আগস্ট, বৃহস্পতিবার, তিনি রাজধানী এক্সপ্রেসে নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। সেখান থেকে পরের দিন শ্রীনগরগামী ফ্লাইট ধরেন। কিন্তু, অরিত্র মজুমদার ১০ অগাস্ট কলকাতা ছাড়ার কথা বললেও, SFI এই রেজিস্টার কপির ছবি সামনে এনে দাবি করেছে, ১১ তারিখও ল্যাবে উপস্থিত ছিলেন অরিত্র। তবে রেজিস্টারে সই-এর অসঙ্গতি থাকায় একাধিক প্রশ্নবানের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তাঁর দাবি, ৯ অগাস্ট রাতে হস্টেলে যাইনি, বন্ধুর মেসে ছিলেন। যদিও এদিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি অরিত্র। বলেন, 'তদন্ত চলছে, তাই কিছু বলতে চাইছি না'।
আরও পড়ুন: Dengue Death: চিকিৎসার গাফিলতিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর অভিযোগ, বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের