Dengue Death: চিকিৎসার গাফিলতিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর অভিযোগ, বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের
Dengue Update: রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, চলতি বছর এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছুঁইছুঁই।
আমডাঙা: চিকিৎসার গাফিলতিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর (Dengue Death) অভিযোগ। আমডাঙায় (Amdanga) ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। মঙ্গলবার ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় আমডাঙার রফিপুরের বাসিন্দা জহিরুল ইসলামের। আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালের বিরুদ্ধে ওঠে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ। সেখান থেকে বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত্যু হয় জহিরুলের। এরপরই ফের আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে দেহ নিয়ে গিয়ে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ ও বিডিও। আধঘণ্টা পর ওঠে বিক্ষোভ।
রাজ্যে এবার দশ হাজারের গণ্ডি পেরোতে চলেছে ডেঙ্গি? স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধুমাত্র এই বছরেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১০ হাজার। উদ্বেগ বাড়িয়ে, ৫ নম্বরে রয়েছে কলকাতা। আক্রান্তের নিরিখে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনা।
রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, চলতি বছর এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছুঁইছুঁই। আক্রান্তের নিরিখে প্রথম ৫-এ রয়েছে কলকাতা গত দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যে দাপট বেড়েছে ডেঙ্গির। মূলত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে দেখা যাচ্ছে মশা বাহিত রোগের প্রকোপ।
এই মুহূর্তে, ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের নিরিখে, শীর্ষে রয়েছে নদিয়া বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৫৩৫, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৩০। আক্রান্তের নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে হুগলি, এই জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪৩ জন। ৪ নম্বরে রয়েছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। মুর্শিদাবাদে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪০ আর ঠিক এরপরই, ৫ নম্বরে রয়েছে কলকাতা এখনও পর্যন্ত কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮৯ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। হাসপাতালে বাড়ছে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা।
বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে, পুরুষ এবং মহিলা মেডিসিন বিভাগে গিয়ে দেখা গেল বেশিরভাগ রোগীই ডেঙ্গি আক্রান্ত।
মশারির মধ্যে রাখা হয়েছে তাঁদের। এখনও রাজ্যে শেষ হয়নি বর্ষার ইনিংস। এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের একাংশের।