Laxmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থাকলে ৬০ পেরোলেই সরাসরি বার্ধক্য ভাতা
State Budget 2023: ৬০ বছর বয়স হলেই সরাসরি ১০০০ টাকা করে বার্ধক্য ভাতা পাবেন।
কলকাতা: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmir Bhandar) নিয়ে বিশাল বড় ঘোষণা রাজ্য বাজেটে (State Budget)। বাজেট পেশের সময় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ঘোষণা করেন যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পরিষেবা পাচ্ছেন এমন মহিলারা ৬০ বছর বয়স হলেই সরাসরি ১০০০ টাকা করে বার্ধক্য ভাতা পাবেন।
রাজ্য সরকারের তরফে বার্ধক্য ভাতার আলাদা পরিষেবা রয়েছে। এদিন যা ঘোষণা হল, তাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থাকলে এখন থেকে ৬০ বছর পেরিয়ে গেলে আলাদা করে সেই পরিষেবা পেতে আবেদন করতে হয়তো হবে না।
এদিন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেন, '১.৮৮ কোটি মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের অধীনে এসেছে।'
রাজ্য সরকারের কাছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmir Bhandar) প্রকল্প প্রথম থেকেই গুরুত্ব পেয়ে এসেছে। মহিলাদের হাতে নগদ পৌঁছে দেওয়া, মহিলাদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করার মতো কাজ হয়ে থাকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প ঘোষণা হওয়ার শুরু থেকেই বিপুল সাড়া মিলেছিল। এই প্রকল্প যাতে ঠিকমতো চলে সেই বিষয়েও সবসময় সতর্ক দৃষ্টি রেখেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। গত বছরেই একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, 'মা বোনেরা একসঙ্গে লক্ষ্মীর ভান্ডার পেয়ে গেলেন। আমি গর্বিত। আমি মনে করি টাকাটা হয়ত সামান্য। কিন্তু সামান্য অতি সামান্য হয়ে যায়। এটা আপনার অধিকার। লক্ষীর ভান্ডার মা বোনেদের অধিকার।'
কী এই প্রকল্প:
২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন করতে পারেন।
জেনারেল ক্যাটেগরি হবে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা
তফসিলি জাতি ও জনজাতিভুক্ত হলে প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা
অর্থাৎ, জেনারেল ক্যাটেগরি হলে বছরে ৬ হাজার টাকা
তফসিলি জাতি ও জনজাতিভুক্ত হলে বছরে ১২ হাজার টাকা
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে বিস্তর অভিযোগও উঠেছে। কখনও ফর্ম বিলি নিয়ে সমস্যা। কখনও ঠিকমতো টাকা না পাওয়ার সমস্যা নিয়ে অভিযোগ ওঠে। যদিও তারপরেও বহু বাসিন্দা এই টাকা পেয়েছেন।
আরও একাধিক ঘোষণা:
রাজ্য সরকারি কর্মী ও অবসরপ্রাপ্তদের মহার্ঘ ভাতা ৩ শতাংশ বাড়ানো হল। আগামী মার্চ মাস থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। বাজেটে ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রাস্তাশ্রী নামে একটি প্রকল্প আনা হয়েছে। যে প্রকল্পের অধীনে ১১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার রাস্তার জন্য ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে রাস্তা নিয়ে যে বড় ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে রাজ্য সরকারের অন্যতম প্রাধান্য ছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের রাস্তা। সড়ক তৈরি থেকে মেরামতি, এজেন্ডায় প্রাধান্য পাচ্ছিল। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে 'পথ-বিবাদ'-এ জড়িয়েছে রাজ্য. প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার নামবদল নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। তরুণদের আর্থিক সহায়তা প্রকল্প - ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের আর্থিক সহায়তার জন্য ঋণপ্রকল্প। এই খাতে ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ। ১৮-৪৫ বছরের মধ্যে যাঁরা স্বনিযুক্তি প্রকল্পের জন্য ৫ লক্ষ টাকা ঋণ পাবেন। বিধায়ক তহবিলের বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। চা বাগানের আয় থেকে ছাড় মিলবে কৃষি আয়কর আইনে। বাড়ি-ঘর ক্রয়ের উপর স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় আরও ৬ মাসের জন্য বহাল।
আরও পড়ুন: 'বেকারদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বাজেটে দিশা নেই' সমালোচনায় বিরোধী দলনেতা