Paschim Medinipur: প্রেমিকাকে খুন করে পুঁতে ফেলার অভিযোগ, হইচই খড়্গপুর গ্রামীণের ভালুকমচা গ্রামে
Murder Allegation:প্রেমিকাকে খুন করে পুঁতে ফেলার অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। জল্পনা ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় চাঞ্চল্য। গ্রামবাসীদের দাবি, তদন্ত করে অপরাধীকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক।
বিশ্বজিৎ দাস, খড়্গপুর: প্রেমিকাকে (girlfriend) খুন (murder) করে পুঁতে (bury) ফেলার অভিযোগ উঠল যুবকের (youth) বিরুদ্ধে। জল্পনা ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় চাঞ্চল্য। গ্রামবাসীদের দাবি, তদন্ত করে অপরাধীকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক। যদিও যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি কোনও অপরাধ মানছেন না। হাড় হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার খড়গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত ভালুকমচা গ্রামে।
কী হয়েছে?
পুলিশ পড়শিদের থেকে প্রাথমিক ভাবে জেনেছে, প্রেমের টানেই দুজন একসময়ে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসে একত্রে থাকতে শুরু করেন। ভালুকচা গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গল এলাকায় থাকতেন তাঁরা। গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে, বড় রাস্তা পেরিয়ে বাসা বেঁধেছিলেন দুজন। অভিযোগ, সেই জঙ্গল সংলগ্ন এলাকাতেই প্রেমিকা পবিত্রা সিংহকে মেরে ফেলেন তাঁর প্রেমিক তরুণ সিংহ। গ্রামবাসীরা গত কালই বিষয়টি জানতে পারেন বলে উঠে এসেছে। তারপর-ই পুলিশকে জানান তাঁরা। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে বলে খবর। আজ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মাটির নিচ থেকে দেহ তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তরুণ সিংহের দাবি, তিনি হত্যা করেননি। যদিও পবিত্রার মৃত্যুর পর তাঁর দেহ মাটিতে পুঁতে ফেলার কথা স্বীকার করেছেন তরুণ। আর এখানেই খটকা লাগছে অনেকের। যদি এর পিছনে কোন রহস্য় না থাকবে, তা হলে কাউকে কিছু না জানিয়ে তিনি প্রেমিকার দেহ নীরবে সমাহিত করে দিলেন কেন? আর ওই তরুণী মারা গেলেন কী ভাবে? স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল নাকি নেপথ্য়ে অন্য কোনও গল্প রয়েছে? প্রশ্ন অনেক। গ্রামবাসীরা তদন্তের পর উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন। প্রসঙ্গত দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনাতেও নাম জড়িয়েছে তাঁর লিভ ইন পার্টনার আফতাব আমিন পুনাওয়ালার।
দিল্লির হত্য়াকাণ্ডেও প্রেমিকের নাম...
সপ্তাহদুয়েক আগেকার ওই খবরে কেঁপে গিয়েছিল গোটা দেশ। মেহরৌলির ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডে নাম জড়ায় আফতাব আমিন পুনাওয়ালার। অভিযোগ, লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা সঙ্গীর দেহ টুকরো টুকরো করে ১৮ দিন ধরে জঙ্গলে ফেলে এসেছিল সে। সূত্রের খবর, প্রত্যেকদিন রাত ২টোর সময় অভিযুক্ত যুবক বাড়ি থেকে বেরিয়ে জঙ্গলে দেহের টুকরো ফেলতে যেত আফতাব। অভিযুক্তকে প্রথমে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। জানা যায়, গোটা ঘটনার সূত্রপাত, ঝগড়া থেকে। অভিযুক্ত ১৮ মে তাঁর লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারের গলা টিপে ধরেন। এরপর তাঁর দেহকে ৩৫ টুকরো করেন। সূত্রের খবর সেই টুকরো রাখার জন্য ৩০০ লিটার ওজনের একটি ফ্রিজও কেনে যুবক। এরপরের ১৮ দিন ধরে, তিনি মেহরৌলির জঙ্গলের বিভিন্ন এলাকায় টুকরোগুলি ফেলতে থাকে বলে জানতে পেরেছিল পুলিশ।
আরও পড়ুন:কড়া নাড়ছে ডিসেম্বর, কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?