IAS Success Story: দৃষ্টিহীনতাকে জয় করে স্কুল শিক্ষিকা থেকে IAS আয়ুষী দাবাস- কতটা লড়াই ছিল সাফল্যের আড়ালে ?
IAS Ayushi Dabas: ২৯ বছর বয়সেই দেশের অন্যতম সফল আইএএস হয়ে প্রমাণ করেছে আয়ুষী যে স্বপ্নের কাছে কোনও প্রতিবন্ধকতাই বড় নয়। চোখে দৃষ্টি ছিল না, কিন্তু স্বপ্ন ছিল অফুরান।
IAS Ayushi Dabas: ছোটবেলা থেকেই চোখে দেখতে পান না, দৃষ্টিহীন হয়েই পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন। চোখে দৃষ্টি না থাকলেও, স্বপ্ন ছিল ষোলো আনা। আর সেই চোখেই স্বপ্ন দেখে আজ দেশের কাছে চোখের মণি হয়ে উঠেছেন তিনি। দৃষ্টিহীন স্কুলশিক্ষিকা থেকে আইএএস হয়ে উঠলেন দিল্লির আয়ুষী দাবাস। কীভাবে স্বপ্ন সফল করলেন আয়ুষী ? ২৯ বছর বয়সেই দেশের অন্যতম সফল আইএএস (IAS Ayushi Dabas) হয়ে প্রমাণ করেছে আয়ুষী যে স্বপ্নের কাছে কোনও প্রতিবন্ধকতাই বড় নয়।
কীভাবে বড় হয়েছেন আয়ুষী ?
জন্ম থেকেই দৃষ্টিহীন আয়ুষী দাবাস (IAS Ayushi Dabas)। তবে পড়াশোনার ক্ষেত্রে এই দৃষ্টিহীনতা কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। ছোটবেলায় দিল্লির রানিখেরায় একটি স্কুলে নিজের প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করেন আয়ুষী। তারপর স্নাতক স্তরে ভর্তি হন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী কলেজে। তারপর ইন্দিরা গান্ধী মুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আয়ুষী দাবাস ইতিহাসে তাঁর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেন। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড ডিগ্রিও অর্জন করেছেন আয়ুষী দাবাস।
পরিবারের সহায়তা
আয়ুষীর বাবা পাঞ্জাবের একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন এবং তাঁর মা ছিলেন একজন নার্সিং অফিসার। যদিও ২০২০ সালে তিনি স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন এবং মেয়ে আয়ুষীর পড়াশোনাকে প্রাধান্য দিতে গৃহকর্ত্রীর ভূমিকা পালন করতে শুরু করেন। পরে এক সাক্ষাৎকারে আয়ুষীর মা আশারানি জানিয়েছেন যে ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন আয়ুষী (IAS Ayushi Dabas) আর তাই তাঁর মেয়েকে সাহায্য করার জন্যেই চাকরি থেকে অবসর নেন তিনি এবং তাঁর স্থির ও দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে আয়ুষী এই পরীক্ষায় সফল হবেই।
আয়ুষীর শিক্ষকতার শুরু
ছোটবেলায় অনেকেই আয়ুষীকে বলেছেন যে, তিনি অন্যদের থেকে আলাদা, তাঁর দ্বারা সেভাবে বড় কিছু করা কখনই সম্ভব হবে না। আইএএস হয়ে তিনি সেই সব মানুষদের কথার যোগ্য জবাব দিয়েছেন। বেশ কিছু বছর ধরে আয়ুষী একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করে আসছেন। ২০১৯ সালে দিল্লি সাব অর্ডিনেট সার্ভিস সিলেকশন বোর্ডের তরফে তিনি একজন ইতিহাসের শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। এরপর মুবারকপুরে একটি সরকারি উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ১১ ও ১২ শ্রেণির ক্লাস নিতেন আয়ুষী, পড়াতেন ইতিহাস।
কালাম ছিলেন আদর্শ
এপিজে আবদুল কালামকে তিনি তাঁর আদর্শ বলে মনে করতেন। আয়ুষী এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে অনেকসময় মানুষ প্রতিবন্ধীদের অন্য চোখে দেখেন এবং মনে করেন যে তাঁরা সেভাবে কিছুই করতে পারবেন না। আয়ুষী (IAS Ayushi Dabas) এই চিন্তাধারার বদল ঘটাতে চান। প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে চান তিনি। চোখে দেখতে পেতেন না আয়ুষী। আর তাই সমাজমাধ্যম, ডিজিটাল মিডিয়া আর অডিয়ো রেকর্ডিং শুনে শুনেই পড়াশোনা করতে হয়েছে আয়ুষীকে।
২০২১ সালে প্রথম ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেন আয়ুষী দাবাস। প্রথম পরীক্ষাতে সফলতা আসেনি। হাল ছেড়ে দেননি তিনি। চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। ৫ম প্রচেষ্টায় সারা দেশে ৪৮ র্যাঙ্ক অর্জন করেন আয়ুষী দাবাস। স্কুল শিক্ষিকা থেকে আইএএস হয়ে ওঠার জার্নি শুরু হয় তাঁর।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI