Railway Exam: মঙ্গলসূত্র, পৈতে পরে পরীক্ষায় বসা যাবে না ! নিষেধাজ্ঞায় তুমুল বিতর্ক; চাপে পড়ে কী জানাল রেল ?
Railway Recruitment Exam: অ্যাডমিট কার্ডে লেখা নিয়মবিধি অনুসারে, মঙ্গলসূত্র, কানের দুল, নাকের নথ বা নাকছাবি, আংটি, চুড়ি, পৈতের মত কোনও 'অলঙ্কার' পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকা যাবে না।

কর্ণাটক: ভারতীয় রেলওয়ের নার্সিং সুপারিনটেন্ডেন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে চরমে উঠল বিতর্ক। ২৮ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই পরীক্ষা আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড বিতরণের পরে রেলওয়ের (Railway Exam) তরফে জানানো হয়েছিল যে এই পরীক্ষার সময় পরীক্ষাকেন্দ্রে মঙ্গলসূত্র বা পৈতে গায়ে রেখে ঢোকা যাবে না। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে এগুলি খুলে রেখে আসতে হবে। আর এই নিষেধাজ্ঞাকে ঘিরেই (Recruitment Exam) সারা দেশ জুড়ে বিতর্ক শুরু হয়। এই চাপের মুখে রেলের তরফে জানানো হয়েছে আগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে এবং পরীক্ষার্থীরা সাধারণভাবেই মঙ্গলসূত্র কিংবা পৈতে পরে আসতে পারবেন পরীক্ষাকেন্দ্রে।
অ্যাডমিট কার্ডে লেখা নিয়মবিধি অনুসারে, মঙ্গলসূত্র, কানের দুল, নাকের নথ বা নাকছাবি, আংটি, চুড়ি, পৈতের মত কোনও 'অলঙ্কার' পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকা যাবে না। এর আগেও কর্ণাটকের কমন এন্ট্রান্স টেস্টকে ঘিরে একই মর্মে বিতর্ক চরমে উঠেছিল। এবারেও একই অভিযোগ উঠেছে হিন্দু পরীক্ষার্থীদের তরফে যেখানে তাদের পৈতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাবলিক এক্সামিনেশনে এভাবে ধর্মীয় উপচারে বাধা দেওয়াকে নিয়ে তুমুল নিন্দা চলছে। আর এই চাপের মুখে পড়েই সিদ্ধান্ত বদল করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
এক্স হ্যান্ডলে রেলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি সোমান্না লিখেছেন, 'আনন্দের সঙ্গে জানানো হচ্ছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি সোমান্না নির্দেশ দিয়েছে সমস্ত কর্তৃপক্ষকে যাতে কোনও পরীক্ষার্থীকে তাদের ধর্মীয় প্রতীক ধারণ করা থেকে বিরত না করা হয়, মঙ্গলসূত্র পৈতের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে রেলের নার্সিং সুপারিনটেন্ডেন্ট পরীক্ষায়'। তিনি জানিয়েছেন যে পরীক্ষার্থীদের মঙ্গলসূত্র, পৈতে পরা থেকে কেউ যেন বাঁধা না দেন, সেই বিষয়ে সমস্ত কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে যদিও মোবাইল ফোন, ব্লুটুথ ডিভাইস, ক্যামেরা, হ্যান্ডব্যাগ, বেল্ট, ওয়ালেট, ইলেকট্রনিক গ্যাজেট রাখা হয়েছিল তালিকায়। রেলের এই নিষেধাজ্ঞার পরেই ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত এই মর্মে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, তাদের দাবি ছিল অবিলম্বে এই অ্যাডমিট কার্ড বাতিল করতে হবে। হিন্দু যেখানে সংখ্যাগুরু সেখানে হিন্দুবিরোধী এই নীতি প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। ফেসবুকে শরণ কুমার পাম্পওয়েল নামের এক নেটিজেন তাঁর প্রোফাইলে এই অ্যাডমিট কার্ডের ছবি দিয়ে লেখেন, 'সম্পূর্ণ ধর্মবিরোধী সিদ্ধান্ত'।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI






















