Success Story: রাস্তার ধারে সিঙাড়া বিক্রি করেই পড়াশোনা, NEET উত্তীর্ণ হয়ে নজির গড়ল এই কিশোর
Sunny Kumar Noida: রাস্তার ধারে ঠেলাগাড়িতে সিঙাড়া বিক্রি করেও নিট ইউজির (NEET UG 2024) প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। মনে বড় স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হবেন। সিঙাড়া বিক্রি করেও নিট উত্তীর্ণ হলেন সানি কুমার।
Sunny Kumar: চোখে স্বপ্ন আর মনে অদম্য জেদ থাকলে সব অসম্ভবই সম্ভব হয়ে যায়। দারিদ্র্য কোনও বাধাই নয়। মনের ইচ্ছের জোরে সব বাধা কাটিয়ে সাফল্য (Success Story) একদিন আসবেই। আর সেই নজিরই গড়লেন নয়ডার বছর আঠারোর সানি কুমার। রাস্তার ধারে ঠেলাগাড়িতে সিঙাড়া বিক্রি করেও নিট ইউজির (NEET UG 2024) প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। মনে বড় স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হবেন। আর সেই স্বপ্নই পূরণ হল তাঁর। সিঙাড়া বিক্রি করেও নিট উত্তীর্ণ হলেন সানি কুমার (Sunny Kumar)।
জানা গিয়েছে অলখ পাণ্ডের ফিজিক্সওয়ালার টেলিগ্রাম চ্যানেলে বিনামূল্যের স্টাডি মেটেরিয়াল ও ভিডিয়ো ক্লাস দেখেই নিটের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন সানি কুমার। সমাজমাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সানি কুমারের এই সাফল্যের কাহিনি। নিটে ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৬৬৪ পেয়েছেন সানি কুমার। খুবই অভাবী ঘরে বড় হয়েছেন সানি কুমার। রাস্তার ধারের সিঙাড়ার স্টল চালিয়ে অবসর সময়েই তাঁকে পড়াশোনা করতে হয়েছে। প্রতিদিন বিকেল ৪টে থেকে ৯ টা পর্যন্ত তাঁর এই স্টল বসে নয়ডার সেক্টর ১ এলাকায়। সানি কুমার জানিয়েছেন যে ওষুধ দেখেই তাঁর এই চিকিৎসাশাস্ত্রের প্রতি উৎসাহ জন্মায়। কীভাবে এত ছোট ছোট ওষুধ বড় বড় রোগের চিকিৎসায় কাজে আসে, তা থেকেই বিপুল আগ্রহ জন্মায় সানির। আর এই জন্যেই দ্বাদশ শ্রেণিতে তিনি বিজ্ঞানের পাশাপাশি জীববিদ্যা বিষয় হিসেবে বেছে নেন আর সেই থেকেই নিটের প্রস্তুতি শুরু।
সারা দিন স্কুল আর ব্যবসা সামলিয়ে রাত জেগে পড়াশোনা করাটাই তাঁর নিত্যদিনের রুটিন হয়ে গিয়েছিল। একাদশ শ্রেণি থেকেই ফিজিক্সওয়ালার অনলাইন কোচিং প্ল্যাটফর্ম থেকে পড়াশোনা করতে শুরু করেন সানি কুমার। ফিজিক্সওয়ালার প্রতিষ্ঠাতা অলখ পাণ্ডে সম্প্রতি তাঁর এই সাফল্যের কাহিনি, তাঁর সঙ্গে সেই সিঙাড়ার স্টলে সময় কাটানোর কিছু মুহূর্ত নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন।
একটি ভিডিয়োতে দেখা যায় সানি কুমারের ভাড়া বাড়িতে গিয়ে অলখ পাণ্ডে দেখতে পান ঘরের দেয়ালে কাগজে হাতে লেখা শর্ট নোটস টাঙানো। স্টলে বসে সানির হাতে ভেজে দেওয়া সিঙাড়াও খান অলখ পাণ্ডে। ইতিমধ্যেই সানি কুমার ও তাঁর মায়ের হাতে ৬ লাখ টাকার স্কলারশিপের চেক তুলে দিয়েছেন অলখ পাণ্ডে এবং তাঁর মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করার সমস্ত খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সানির মা দিনমজুর হিসেবে কাজ করে সংসার চালান। তাঁর দাদাও নানাভাবে উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সানিও পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন, কিন্তু তাঁর কাছে সবথেকে বড় প্রাধান্য ছিল পড়াশোনা। আর রাত জেগে পড়ে অমানুষিক ক্লান্তি সয়ে আজ স্বপ্নপূরণ হয়েছে সানির। সানি কুমার এখন সমস্ত নিট উৎসাহীদের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
আরও পড়ুন: Recruitment News: ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় স্নাতক পাশেই চাকরির সুযোগ, ৫০০ পদে হবে নিয়োগ
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI