Success Story: সুনামি ঘর কেড়েছিল, দারিদ্র্য ছিল নিত্যসঙ্গী; জীবনের লড়াইয়ে হার না মেনে IAS, IPS এই দুই বোন
UPSC Success Story: তামিলনাড়ুর কুদ্দালোরে জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা সুস্মিতা এবং ঐশ্বর্যের। শৈশব কেটেছে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে। সেভাবে স্বাচ্ছন্দ্য ছিল না পরিবারে। ২০০৪ সালে ভয়ানক সুনামি কেড়ে নেয় ঘর-বাড়ি।

UPSC Exam: কথায় বলে দারিদ্র্যের থেকে বড় শিক্ষক আর কেউ নেই। জীবনের কঠিনতম শিক্ষা দেয় এই দারিদ্র্য, ক্ষমতা আর অর্থের গুরুত্ব ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করে আমাদের। তবে পায়ের তলার মাটি যদি দারিদ্র্য কেটে গেলে সরে যায় তাহলেই পতন। আর এই আদর্শই (UPSC Success Story) বয়ে চলেছেন দুই বোন। একসময় সুনামিতে ঘর ভেসে গিয়েছিল, গ্রাস করেছিল চরম দারিদ্র্য। তবু জীবনের কাছে হার মানেননি। লড়াই (UPSC Exam) করে আজ সফল আইএএস এবং আইপিএস তারা দুজনেই। আইপিএস সুস্মিতা রমামথন এবং আইএএস ঐশ্বর্য রমামথনের কাহিনি আপনাকেও অনুপ্রাণিত করবে।
তামিলনাড়ুর কুদ্দালোরে জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা সুস্মিতা এবং ঐশ্বর্যের। শৈশব কেটেছে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে। সেভাবে স্বাচ্ছন্দ্য ছিল না পরিবারে। ২০০৪ সালে ভয়ানক সুনামিতে কেড়ে নেয় তাদের ঘর-বাড়ি, এক ধাক্কায় চোখের সামনে পুরো পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যায় তাদের। কিন্তু এত বিপদ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তারা হাল ছেড়ে দেননি। নজ্রকঠিন প্রতিজ্ঞার জেরে ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছেন। আইএএস এবং আইপিএস হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছেন।
ঐশ্বর্য ও সুস্মিতার বাবা আর রমামথন একজন কাজুবাদাম চাষী ছিলেন। তাদের মা পরে সরকারি চাকরি পান এবং সেভাবেই দুই মেয়েকে বড় করে তোলেন। আর তিনিই মেয়েকে কালেক্টর হওয়ার প্রেরণা জোগাতেন। ২০১৭ সালে আন্না বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঐশ্বর্য ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পূর্ণ করেন, আর তারপর ২০১৮ সালে প্রথম চেষ্টাতেই ইউপিএসসিতে সারা দেশের মধ্যে ৬০৩ র্যাঙ্ক অধিকার করেন।
তিনি প্রথমে রেলওয়ে অ্যাকাউন্টস সার্ভিসে যোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু তার ইচ্ছে ছিল আইএএস হওয়ার, তাই ২০১৯ সালে আবার পরীক্ষা দেন তিনি। এরপরে তার ৪৭ র্যাঙ্ক আসে এবং তিনি সফল আইএএস হয়ে ওঠেন। তার বোন সুস্মিতাও কিছু কম যান না। মাত্র ২৪ বছর বয়সে তিনি আইপিএস অফিসার হন। তবে তার ক্ষেত্রে যাত্রাপথ সুগম ছিল না। পরপর ৫বারের চেষ্টায় সফল হন তিনি, ইউপিএসসিতে ২০২২ সালে ৫২৮ র্যাঙ্ক অর্জন করেন সুস্মিতা রমামথন।
এখন সুস্মিতা রমামথন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিনটেন্ডেন্ট অফ পুলিশ পদে কর্মরত দক্ষিণের কাঁকিণড়া জেলায়। আর তার দিদি ঐশ্বর্য রমামথন এখন তামিলনাড়ুর থুঠকুড়িতে অ্যাডিশনাল কালেক্টর ডেভেলপমেন্ট পদে কর্মরত।
আরও পড়ুন: India Post Recruitment: ২১ হাজার গ্রামীণ ডাক সেবক নিয়োগ করবে ডাকবিভাগ; কতদিন পর্যন্ত চলবে আবেদন ?
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
