Dilip Attacks Mamata: রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রচারে বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান
WB News: রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রচারে বেরিয়ে তাঁর গাড়িতেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী।
রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রচারে বেরিয়ে তার গারিতেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী।বিধায়ক তপন দাশগুপ্তর গাড়িতে তাকে নিয়ে যাওয়া হল চিকিৎসার জন্য।
শুক্রবার ইকো পার্কে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে নাম না করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (WB CM Mamata Banerjee) তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (BJP Leader Dilip Ghosh)।
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, "যারা কলকাতার বাইরে যায় না, তারা রাজনীতির কী বোঝে? যারা বলছে তারা একটু বাইরে বেরিয়ে দেখুক। রোদে এমন চেহারা হবে বাড়ির বউ চিনতে পারবে না। অনেকে সারা বছর স্টেটমেন্ট দেয়। আমি একবার দিলে তাদের বরাবর হয়ে যায়। আমি প্রেস মিট করি না,আমি ডিবেট শো-তে যাই না। দিলীপ ঘোষ কী রাজনীতি করে সেটা বাংলার মানুষ জানে। ওরাও আসুক। দেখা যাবে কাকে দেখতে লোক বেরোয়। আমি মুখ্যমন্ত্রী-কে ফলো করি। সংস্কৃতে একটা কথা আছে মহাজন যেনো গতস্য পন্থা। উনি নিজে, ওনার পার্টির নেতা,মন্ত্রী,আগে যারা নেতা ছিল,তাদের কমেন্টগুলো শুনুন। বাংলায় এটাই ট্রেন্ড। এটাই লোকে সহজে বোঝে। ওনারা যে এগুলো হজম করতে পারবেন না, ওদের যে হজম শক্তি এতো কম, এটা আমি জানতাম না।"
ঝড়ে বিপর্যস্ত ময়নাগুড়তে ত্রাণ বিলি নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে।
এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "সরকার ফুটো হয়ে গেছে। তারা ভালো হাঁড়ি দেবে কীভাবে?"
রাজ্যকে রেকর্ড টাকা দিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার কোচবিহারের সভা থেকে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এপ্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, "কেন্দ্র কী দিয়েছে সেটা ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। এই সরকার সেই টাকা দিয়ে কী করছে সেটাও সি এ জি রিপোর্টে পেয়ে যাবেন। ফলে মিথ্যা কথা বলে পার পাওয়া যাবে না। এমন ভাব করছে যেন টাকা ওখানে জমা রেখেছে। চাইলেই দিয়ে দেবে আর লুঠ করে খাবে। এই টাকা দিয়ে ভোট কেনার অধিকার কেউ দেয়নি।"
বোস বনাম ব্রাত্য
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বিতর্কের জেরে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,"মজার ব্যাপার। এরা রাজ্যপালকে আর কমিশনকে গালাগাল দেবে। ওগুলো নাকি বিজেপি অফিস। আবার ঠেলায় পড়লে সকাল বিকেল এরা কাকা বা মেসোর বাড়ি দৌড়াবে। রাজ্যপালের সঙ্গে ভাব করলেন। অ আ ক খ শেখালেন। তারপর আবার সেটা মাটি হয়ে গেল। আবার সেটিং করলেন। গিয়ে চা খেলেন। আবার কী হল? আসলে আপনারা এমন লোক যে আপনাদের সঙ্গে কোনও ভদ্রলোক বেশিদিন থাকতে পারেন না। রোজ ঝগড়া হবে। আবার ঠেলায় পড়লে দৌড়াবেন। এটাই দেখে আসছি আমরা।"
কেন্দ্রীয় বাহিনী কি আরও ৩ মাস রাজ্য থাকবে?
এপ্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হল দিলীপবাবু বলেন, "আমরা বিধানসভার সময় একই দাবি জানিয়েছিলাম। ফল পাইনি। গুন্ডারা ওপেন বেরিয়ে এসে খুন খারাপি করছিল। মানুষের মনে হয়েছে বাহিনী থাকলে কিছু করলেও করতে পারে। বাহিনী ব্যবহার করে এখানকার পুলিশ। পুলিশের যেমন ভূমিকা বাহিনীর তাইই ভূমিকা হয়ে দাঁড়ায়। প্রশাসন না চাইলে কীভাবে হিংসা বন্ধ হবে?"
আমি না থাকলেই সব বন্ধ : মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করেন দিলীপ। বলেন, "উনি তো এটাও বলেছেন যে সব জায়গায় উনিই মুখ। ওনার মুখ মানে তো সন্দেশখালি। কেউ তো সেই মুখ দেখতে চায় না। তাই ব্যান্ডেজ বেঁধে এদিক সেদিক ঘুরতে হয়। আমিও চালসার ছবি দেখে চিনতে পারছি না। এটা পুরনো ছবি না নতুন ছবি। উনিও বুঝেছেন ছবি পাল্টাতে হবে। এই ছবি দিয়ে আর চলছে না। দেখা যাক ভোটের আগে আর কী কী হয়?"
ইউনিফর্ম সিভিল কোড বা দেশজুড়ে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে আপত্তি মমতার
এপ্রসঙ্গে বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা বলেন, "মমতা বলেছিলেন, জি এস টি করতে দেব না। শেষে মেনে নিলেন। দেখলেন লাভ পাচ্ছেন। উনি বলেছিলেন সিএএ করতে দেব না। এরকম উনি বলেন। উনি ওনার সরকারটাই ভালো করে চালাতে পারেন না। মানুষও আজকাল ওনার কথা সিরিয়াসলি নেয় না। গ্যারান্টি মোদি দেবেন। মোদির গ্যারান্টি এখন দেশে চলছে।"
কাকে বিয়ে করতে হবে বিজেপি ঠিক করে দেবে নাকি? মমতা
এই কথার জবাবে তীব্র কটাক্ষ করেন দিলীপ। বলেন, "যেটা উনি নিজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন। যেটা উনি নিজে সারাজীবন ঠিক করতে পারেননি। সেটা ঠিক করতে হবে তো। বিজেপি কোনও ধর্মীয় বা ব্যক্তিগত আক্রমণ করে না। উনি মিথ্যা বলে এতদিন লোক ক্ষেপিয়ে এসেছেন। এখন সেটা ধরা পড়ে গেছে।"
আইএসএফ নেতা নৌশাদের ইউ টার্ন প্রসঙ্গে দিলীপের উক্তি, "এই সব সেটিং। শুধু ডায়লগ। লোকে এখন এদিক ওদিক তাকাচ্ছে না। গো স্ট্রেট। গো ফর বিজেপি।"