BJP, TMC Workers Clash: ময়নায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, পথ অবরোধ
West Bengal Assembly Election 2021: দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: ভোটের মুখে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায়। নৈছনপুর এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের অভিযোগ, বাড়িতে ঢুকে তাদের কর্মীদের মারধর করা হয়। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূলই তাদের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। থানায় নালিশ জানাতে গেলে ফের বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গেরুয়া শিবিরের দাবি, তৃণমূল প্রার্থী ও বিদায়ী বিধায়ক সংগ্রাম দলুইয়ের উপস্থিতিতেই এই ঘটনা ঘটে। তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, বিজেপিই হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক চন্দন মণ্ডলের পাল্টা দাবি, গন্ডগোলের জন্য দায়ী তৃণমূলই। দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
পয়লা এপ্রিল ভোট পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায়। ভোটের দু’সপ্তাহ আগে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ রণক্ষেত্রর চেহারা নিল ময়নার নৈছনপুর। অবরোধ, স্লোগান, পাল্টা স্লোগান ঘিরে ছড়াল উত্তেজনা। শুক্রবার রাতে নৈছনপুরের একাধিক তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ভাচুর করা হয়। অভিযোগ মারধর করা হয় বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকেও। বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে শনিবার সকালে ময়না-আসনান রোড অবরোধ করে তৃণমূল।
ময়নার তৃণমূল প্রার্থী ও বিদায়ী বিধায়ক সংগ্রাম দলুইয়ের অভিযোগ, ‘বিজেপির লোকজন আমাদের কর্মীদের মারধর করেছে, বাড়ি ভাঙচুর করেছে।’
বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূলই তাদের কর্মীদের উপর হামলা চালায়। থানায় নালিশ জানাতে গেলে ফের বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয়। তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক চন্দন মণ্ডলের দাবি, ‘গতকাল, শুক্রবার রাতে এলাকার তৃণমূল কর্মীরা আমাদের কর্মীদের মারধর করে। থানায় নালিশ জানাতে গেলে ফের বিজেপি কর্মীদের মারধর করে। তখন বিধায়ক ছিলেন সামনে।’
পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে বাকচা-সহ ময়নার একাধিক এলাকায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নৈছনপুরের ঘটনায় দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও কেউ ধরা পড়েনি।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাঁথি-সফরের আগেই তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিজেপি নেত্রী ও সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। অধিকারী পরিবার একে সৌজন্য সাক্ষাৎ বললেও, বিজেপি সাংসদের দাবি, ছেলে শুভেন্দু অধিকারীর পাশেই থাকবেন বলে দাবি করেছেন শিশির। যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না রাজ্যের শাসক দল।