Panchayat Election : রাজ্য সভাপতির জেলায় বিজেপির সেয়ানে-সেয়ানে টেক্কা তৃণমূলকে, দক্ষিণ দিনাজপুরের ফলাফলের Exit Poll
Dakshin Dinajpur : ২০১৮ সালে দক্ষিণ দিনাজপুরে জেলা পরিষদে আসন ছিল ১৮ টি। যার সবকটি আসনই গিয়েছিল রাজ্যের শাসকদলের দখলে।
কলকাতা : সেয়ানে-সেয়ানে টক্কর। পাল্লা ঝুঁকতে পারে যে কোনও দিকে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত। ভোটের দিন সি ভোটারের করা এক্সিট পোলের যা ইঙ্গিত, তাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা পরিষদ ত্রিশঙ্কু হয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
সি ভোটারের এক্সিট পোল জানাচ্ছে, ২১ আসনের দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা পরিষদে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্ভাব্য প্রাপ্ত আসন ১১ থেকে ১৫ টি। আর বিজেপি যেখানে পেতে পারে ৬ থেকে ১০ টি আসন। আর শূন্য থেকে ১ টি আসন যেতে পারে বাম-কংগ্রেসের দখলে।
যেখানে ২০১৮ সালে দক্ষিণ দিনাজপুরে জেলা পরিষদে আসন ছিল ১৮ টি। যার সবকটি আসনই গিয়েছিল রাজ্যের শাসকদলের দখলে। প্রসঙ্গত, যার পরের বছরই লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে জিতেছিলেন গেরুয়া শিবিরের বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar)।
ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্য়েই সম্ভাব্য় ফলাফলের একটা আঁচ পাওয়ার চেষ্টা করেছে সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটার (C Voter)। ভোটের দিন ২০টি জেলা পরিষদের ১৩ হাজার ২৮৯ জন ভোটারের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। বিকেল ৪ টে পর্যন্ত করা সমীক্ষায় যা উঠেছে এসেছে, তার ভিত্তিতেই সার্ভের ফলাফল তুলে ধরেছে তারা। এই এক্সিট পোলে মার্জিন অফ এরর প্লাস মাইনাস পাঁচ শতাংশ।
কিন্তু ওপিনিয়ন পোল হোক কিংবা এক্সিট পোল, কোনওটাই শেষ কথা নয় ! গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্য়ালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছে। সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। সম্পূর্ণভাবে যা গোপনীয়। আর তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছে। এই এক্সিট পোলের সঙ্গে এবিপি আনন্দর এডিটোরিয়াল পলিসির কোনও সম্পর্ক নেই। আর মানুষ প্রকৃতভাবে তার মতামত দিতে পারল কি পারল না ? সেই বিতর্ক কিন্তু রয়েই গেল।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) দিনে সন্ধে পর্যন্ত একদিনে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। গ্রাম বাংলা দখলের ভোটপর্ব শুরুর সময় থেকে বঙ্গে প্রাণ গিয়েছে মোট ৩৩ জনের। বেলাগাম হিংসার সাক্ষী হয়েছে রাজ্য। গ্রাম বাংলা দখলের লড়াইয়ে বেলাগাম হিংসার সাক্ষী হতে হয়েছে রাজ্যবাসীকে।
আরও পড়ুন- 'কেউ গ্যারান্টি দিতে পারে না কে কাকে কখন গুলি করে দেবে' রক্তস্নাত রাজ্যে রাজীবের দোহাই
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন