Panchayat Election : 'কেউ গ্যারান্টি দিতে পারে না কে কাকে কখন গুলি করে দেবে' রক্তস্নাত রাজ্যে রাজীবের দোহাই
Rajiva Sinha : রাজীব সিনহা ভোট ব্যবস্থাপনা নিয়ে সংযোজন, 'আইনশৃঙ্খলার দিকটা দেখা জেলাস্তরের বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাজ, আমার কাজ ভোট নিয়ে ব্যবস্থাপনা করা।'
কলকাতা : রক্তস্নাত রাজ্য। আর রাজ্য নির্বাচন কমিশনার (State Election Commissioner) দিলেন দোহাই ! রাজীব সিনহার মুখে আইনকানুন ও ভোট ব্যবস্থাপনা ঘিরে আজব যুক্তি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) দিনে সন্ধে পর্যন্ত একদিনে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। গ্রাম বাংলা দখলের ভোটপর্ব শুরুর সময় থেকে বঙ্গে প্রাণ গিয়েছে মোট ৩৩ জনের। বেলাগাম হিংসার সাক্ষী হয়েছে রাজ্য। আর রাজ্যের ভোট-হিংসা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার বক্তব্য, 'কেউ গ্যারান্টি দিতে পারে না কে কাকে কখন মেরে দেবে, গুলি করে দেবে।' রাজীব সিনহা ভোট ব্যবস্থাপনা নিয়ে সংযোজন, 'আইনশৃঙ্খলার দিকটা দেখা জেলাস্তরের বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাজ, আমার কাজ ভোট নিয়ে ব্যবস্থাপনা করা।'
রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের যে বক্তব্য ঘিরেই বেঁধেছে তুমুল শোরগোল। গণতন্ত্রের উৎসবে লাশের সারি দেখেও এভাবে কীভাবে নিজের দায় এড়িয়ে যেতে পারেন রাজীব সিনহা (Rajiva Sinha) ? উঠছে প্রশ্ন। পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে ভোটের দিন দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৬০০ অভিযোগ কমিশনে জমা পড়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। যে তথ্য দিয়ে অবশ্য তাঁর দাবি, ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে নাকি ভোটে অশান্তি হয়েছে, তা বলা যাবে বিস্তারিত তথ্য হাতে এসে পৌঁছলেই। সঙ্গে তাঁর প্রত্যাশা, আশা করি পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু কখন ? আর তাঁর থেকেও বড় প্রশ্ন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার কীভাবে নিজের দায়িত্ব এভাবে এড়িয়ে যেতে পারেন ?
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ভোটপর্ব শুরুর পর থেকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। তাঁদের কথা না শুনে রাজ্যের শাসকদলের পক্ষে কাজ করার মতো গুরুতর অভিযোগও শানানো হয়েছে। যারপর কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আনা থেকে স্পর্শকাতর বুথ বা অঞ্চল বেছে নেওয়া, একাধিকবার কলকাতা হাইকোর্টেও (Calcutta High Court) প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। সরাসরি তাঁর নাম করে 'দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ' বলেই সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যে চলতে থাকা অশান্তি, রক্তপাতের জন্য কমিশনারকে দায়ীও করেছিলেন সিভি আনন্দ বোস।
এসবের মাঝেই ভোটের দিন নির্বাচন কমিশন কতটা কার্যকরী ভূমিকা নেয়, সেটা দেখতেই নজর ছিল সকলের। যদিও শান্তিপূর্ণ ভোটের ছবির প্রত্যাশার মতোই কমিশন ও কমিশনারের ভূমিকা নিয়েও শুধু হতাশাই সঙ্গী হয়েছে রাজ্যের মানুষের।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন