Lok Sabha Election 2024:ঘুরে ঘুরে বলা হবে 'নির্যাতনের' ঘটনা, বোলপুরের বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে সন্দেশখালির ১২ বাসিন্দা
Sandeshkhali Incident:এবার লোকসভা ভোটের প্রচারে বঙ্গ বিজেপির বড় হাতিয়ার সন্দেশখালির ঘটনা। বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহাও প্রচারের সময় এই ঘটনার কথা টেনে আনলেন।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: এবার লোকসভা ভোটের প্রচারে বঙ্গ বিজেপির বড় (Election 2024 Campaign) হাতিয়ার সন্দেশখালির ঘটনা (Sandeshkhali Incident)। বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহাও প্রচারের সময় এই ঘটনার কথা টেনে আনলেন। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, তাঁর সঙ্গে প্রচারে নামলেন রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দেওয়া সন্দেশখালির বেশ কয়েক জন নারী- পুরুষ।
কী কী হল?
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই জন্য সন্দেশখালি থেকে বোলপুর এসেছেন ১০ জন মহিলা-সহ ১২ জনের একটি দল। এক সপ্তাহ ধরে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে ওই মহিলা-পুরুষদের সামনে রেখে প্রচার করার কথা। এর মধ্যেই গত শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট বিধানসভা এলাকা দিয়ে তাঁদের প্রচার শুরু হয়েছে। এর পর কেতুগ্রাম বিধানসভা, তার পরে একে একে নানুর, আউশগ্রাম, লাভপুর, ময়ূরেশ্বর এবং বোলপুর মিলিয়ে বোলপুর লোকসভা আসনের অধীনে থাকা ৭টি বিধানসভা এলাকাতেই সন্দেশখালির বাসিন্দাদের নিয়ে প্রচারের পরিকল্পনা করেছে বঙ্গ বিজেপি। পিয়া সাহার সমর্থনে সন্দেশখালির বাসিন্দাদের নিয়ে প্রচারের মূল উদ্দেশ্য় একটাই। কী ভাবে সেখানকার মহিলা-পুরুষদের উপরে শাসকদল অত্যাচার চালিয়েছে, সাধারণ মানুষের কাছে তা তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে এই প্রচারে।
প্রেক্ষাপট...
এ বারের লোকসভা নির্বাচনে সন্দেশখালির ঘটনাকে এমনিতেউ প্রচারের বড় হাতিয়ার করেছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনসভাগুলিতে সন্দেশখালির ‘নারী নির্যাতন'-এর প্রসঙ্গ তুলে সরব হয়েছেন। দলীয় স্তরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সন্দেশখালিতে যাঁরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে নজর কেড়েছেন, তাঁদের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে ভোট-প্রচারে নিয়ে যাওয়া হবে। এ বার বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রেও সেই মহিলা ও পুরুষদের নিয়ে প্রচার করানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি, রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় তৃণমূলের তৎকালীন নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি অফিসাররা। অভিযোগ ছিল, শাহজাহান-আক্রান্তরাই তাঁদের উপর চড়াও হয়েছিল। বেধড়ক মারধর থেকে রেহাই পাননি ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে যাওয়া কেন্দ্রীয় বাহিনী। এমনকি খবর সংগ্রহের কাজে গিয়ে প্রহৃত হতে হয় সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের। সেই দিনের পর থেকে টানা শিরোনামে সন্দেশখালি। টানা প্রতিরোধ শুরু হয় এলাকায়। শেখ শাহজাহান ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে একের পর এক নির্যাতনের অভিযোগে সরব হন এলাকাবাসী, যাঁদের বেশিরভাগই মহিলা। জোর করে জমিদখল, খেলার মাঠ দখল থেকে শুরু করে নারী নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগ শোনা যায়। তোলপাড় পড়ে বঙ্গ রাজনীতিতে। ইডির উপর হামলার ঘটনায় ৫৬তম দিনে গ্রেফতার হয় শেখ শাহজাহান।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে