TMC-ISF Clash In Deganga: বিজয় মিছিলের সময় দেগঙ্গায় তৃণমূল উপপ্রধানকে এলোপাথাড়ি কোপ, ধৃত আইএসএফ সমর্থক
TMC-ISF Clash In Deganga: দেগঙ্গায় তৃণমূলের বিজয় মিছিল চলার সময় আইএসএফ কর্মীরা আচমকা আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ। এর জেরে মিছিলে থাকা স্থানীয় একজন তৃণমূল উপপ্রধানকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল।
সমীরণ পাল, দেগঙ্গা: এ যেন উলটপুরাণ! লোকসভা ভোটের ফলাফল (Loksabha Elections 2024 Results) প্রকাশের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের উপর তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) হামলার ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে বলে অভিযোগ। এর জেরে এখনও পর্যন্ত কলকাতা থেকে কোচবিহার, ঘরছাড়া হয়েছেন প্রচুর মানুষ। কিন্তু, এবার তার উল্টো ঘটনা ঘটতে দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার (Deganga) চাপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোসাইপুরে। সেখানে তৃণমূলের বিজয় মিছিল চলাকালীন তৃণমূলের উপপ্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (ISF) বা আইএসএফের কর্মী-সমর্থকদের উপর। এরপরে গুরুতর জখম অবস্থায় হুমায়ুন রেজা চৌধুরীকে অ্যাপেলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে তাঁর উপর হামলা চালানোর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২ জন আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যায় লোকসভা ভোটে জয়ের আনন্দ উদযাপন করতে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গার মতো দেগঙ্গা এলাকাতেও বিজয় মিছিল বের করা হয়েছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের উদ্যোগে। ওই বিজয় মিছিল চলাকালীন আচমকা আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা এসে চড়াও হয় হুমায়ুন রেজা চৌধরীর উপর। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপায় বলে অভিযোগ। এর জেরে হাত ও পায়ে আঘাত লেগে গুরুতর জখম হন চাপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে উপপ্রধান হুমায়ুন রেজা। পরে তাঁকে চিকিৎসার জন্য অ্যাপালো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়টিকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা দেখা যায় ওই এলাকায়। তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত ২ জন আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের জেরে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘরছাড়া হয়েছেন রাজ্যের শাসকদলের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বিভিন্ন কর্মী ও সমর্থকরা। এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হলে রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা করে আদালত। অবিলম্বে রাজ্য প্রশাসন যদি ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা আটকাতে না পারে তাহলে আগামী ৫ বছর পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে রাখা হবে বলেও কড়া বার্তা দেয়। তারপরও অবস্থার খুব একটি পরিবর্তন হয়নি বলে দাবি রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের। দেগঙ্গায় তৃণমূল উপপ্রধানের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা তারই জলজ্যান্ত প্রমাণ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।