Suvendu Adhikari: 'নন্দীগ্রামে একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতে এজেন্টই দিতে পারেনি, তৃণমূলকে সাফ করে দিয়েছি' : শুভেন্দু
Tamluk Lok Sabha Constituency: তমলুক লোকসভার নন্দীগ্রামের মনসাবাজারে দু'টি বুথে তৃণমূলের এজেন্ট নেই। ভোটারদেরও আটকানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে।
কাঁথি : ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় হোক বা তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, সকাল থেকে বিক্ষোভের মুখে একাধিক বিজেপি প্রার্থী। দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। এই আবহে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, সাফ হয়ে গেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নন্দীগ্রামের একাধিক জায়গায় এজেন্টই দিতে পারেনি রাজ্যের শাসক দল।
বিরোধী দলনেতা এদিন ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, 'ওরা সাফ হয়ে গেছে। ঘাটালে হিরণকে আটকেছে। এখান পেটানি খাচ্ছে। আমরা সাফ করে দিয়েছি তৃণমূল কংগ্রেসকে। তৃণমূল কংগ্রেস ২০০-র বেশি জায়গায় এজেন্টই দিতে পারেনি। নন্দীগ্রামের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত- সোনাচূড়া, হরিপুর, গোকুলনগর, ভেকুটি-সহ বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে ওদের এবার এজেন্টই নেই। আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, যেটা ২০২১-এর ভোটেও আমি পারিনি, ৬৩টি মুসলিম বুথের প্রায় সব জায়গায় মুসলিম ছেলেরাই এজেন্ট হিসাবে বসেছেন। এটা খুব ভাল সংকেত। আমরা নন্দীগ্রাম থেকে অভিজিৎবাবুকে অনেক বেশি ভোটের মার্জিন দিতে পারব। ২ নম্বর ব্লকে ১৮ থেকে ২০ হাজার লিড হবে। ১ নম্বর বুথেও ৫ থেকে ১০ হাজার লিড। আমাদের ৩০ টার্গেট আছে। আশা করছি, কাছাকাছি যেতে পারব।'
এখন পর্যন্ত নন্দীগ্রামের কোথায় কী ?
তমলুক লোকসভার নন্দীগ্রামের মনসাবাজারে দু'টি বুথে তৃণমূলের এজেন্ট নেই। ভোটারদেরও আটকানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে মনসাবাজারের সাউদখালি ভজহরি বিদ্যালয় বুথেই ভোট দেওয়ার কথা ছিল নিহত বিজেপি কর্মী রথীবালা আড়ি ও তাঁর ছেলে বিজেপি নেতা সঞ্জয় আড়ির। এই বুথে শুধু বিজেপি ও নির্দলের এজেন্ট রয়েছে। পাশের সাউদখালি জালপাই সাত্যয়িক বিদ্যালয়ের বুথেও একই অবস্থা। সন্ত্রাসের অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির দাবি, তৃণমূল লজ্জায় এজেন্ট দিতে পারেনি।
এদিকে ভোটপর্বের শুরুতেই নন্দীগ্রামের একাধিক ঘটনা নিয়ে সরব হল তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, "নন্দীগ্রামে একটি বুথে প্রিজাইডিং অফিসার উঠে ভোটারকে দেখিয়ে দিচ্ছেন কোথায় ভোট দিতে হবে। এনিয়ে জেনারেল অবজার্ভারকে হোয়াটসঅ্যাপ করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, টুকলি করে পাস করা যায়, কিন্তু ফার্স্ট হওয়া যায় না। শুভেন্দুবাবু বৃথা চেষ্টা করছেন। যেখানে অপহরণ করা হয়েছে সেখানে বিকল্প বসানো হয়েছে। পুলিশকে জানানো হয়েছে বিষয়টি। সোনাচূড়ায় গত দুই দিনে প্রচুর ভোটারের ভোটার কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আধার কার্ড জমা নিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেককে বলা হয়েছে, যদি বাঁচতে চান জমা দিয়ে দিন, রবিবার সবাই ফেরত পাবেন। এরকমভাবে হুমকি দিয়ে প্রচুর লোকের জমা নিয়ে নেওয়া হয়েছে। গোটা সোনাচূড়া সন্ত্রস্ত এখনও পর্যন্ত। কর্মীদের আটকানো হয়েছে। খবর পেলাম, কোনও একটা জায়গায় সম্ভবত বাঁশের সাঁকো ছিল। যেখানে ওপার দিয়ে ভোটাররা আসেন। প্রায় ৪০০ ভোটার। সেই সাঁকোটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যাতে ৪০০ ভোটার আসতে না পারেন।"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।