Lok Sabha Polls 2024: ভোটের আগে পিংলায় BJP কর্মীর রহস্যমৃত্যু
Pingla BJP Worker Death : 'ছেলে বিজেপি করত বলে খুন করেছে তৃণমূল', অভিযোগ নিহত শান্তনু ঘোড়ুইয়ের বাবার..
বিশ্বজিৎ দাস, সুদীপ্ত আচার্য, পশ্চিম মেদিনীপুর: গোপালপুরের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টাও এখনও পার হয়নি। 'বেধড়ক মারে' তৃণমূল নেতার মৃত্যুর ঘটনার পর এবার, ভোটের আগে (Lok Sabha Elections 2024) পিংলায় বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু (BJP Worker Death Mystery) । বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ধানখেতে দেহ উদ্ধার। নিহত বিজেপি কর্মীর নাম শান্তনু ঘোড়ুই। 'ছেলে বিজেপি করত বলে খুন করেছে তৃণমূল', অভিযোগ নিহত শান্তনু ঘোড়ুইয়ের বাবার। বিজেপি করায় শান্তনুকে আগেও হুমকি দিয়েছে তৃণমূল, অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি, পাল্টা তৃণমূল।
এদিকে ভোটের আগে মর্মান্তিক ঘটনায় গতকাল উত্তপ্ত হয়েছিল পশ্চিম বর্ধমানের গোপালপুর। কাঁকসার গোপালপুরে তৃণমূল কর্মী পবিত্র বিশ্বাসকে (TMC Leader Murder Case) পিটিয়ে মারার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় শম্ভু দাস ও তার স্ত্রী পূর্ণিমা দাসকে। দুই জনকে দুর্গাপুরের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে কাঁকসা থানার পুলিশ। এদিকে দিন কয়েক আগেই শোকের ছায়া নেমে এসেছিল অশোকনগরে।
সম্প্রতি অশোকনগরের গুমায় তৃণমূলের উপপ্রধান খুনে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, বাংলাদেশ পালানোর ছক কষেছিলেন অভিযুক্ত। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন নিহত তৃণমূল নেতার অনুগামীরা। ২৫ ফেব্রুয়ারি, পরিচিত ব্যক্তির বাড়িতে জন্মদিনের পার্টিতে খুন হন গুমা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান বিজন দাস। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে গুলি করা হয়। পুলিশের দাবি, পুরনো শত্রুতার জেরে এই খুন। গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে গৌতম দাস নামে এক দু্ষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। এরপরেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ।
আরও পড়ুন, ছেড়ে দেন ইসরোর অফার, গেট পরীক্ষায় প্রথম বর্ধমানের ছেলে
উত্তর ২৪ পরগনার গুমায় পঞ্চায়েত উপপ্রধান খুনে অভিযুক্তের বাড়ির কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। ঘটনাস্থলের ১০০ মিটারের মধ্য়ে ধৃত অভিযুক্ত পলাশ শর্মার বাড়ির কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল নিবেদিতা পল্লিতে। অভিযুক্তর পরিবারের অন্য় সদস্য়দের গ্রেফতারের দাবিতে গুমা স্টেশন রোডে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ এলাকায় গেলে পুলিশকে ঠেলে সরিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। খুনের ঘটনায় অপর অভিযুক্ত গৌতম দাসের বাড়ি ভাঙচুর করেছিলেন উত্তেজিত জনতা।