Panchayat Election 2023: 'কোম্পানির সংখ্যাটা ফ্যাক্টর নয়..', কেন্দ্রীয় বাহিনীর ইস্যুতে কী প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর ?
Suvendu on Central Force: কেন্দ্রীয় বাহিনীর ইস্যুতে এদিন মুখ খোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, কী বললেন শুভেন্দু ?
কলকাতা: কোর্টে (Court) পরপর ধাক্কা খেয়ে ২২ কোম্পানি বদলাল ৮০০ কোম্পানিতে (Central Force)। আর এদিন একদফা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ইস্যুতে এদিন মুখ খোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
শুভেন্দুর দাবি ১
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বিষয়টা হচ্ছে, মহামান্য প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ, তাঁরা বলেছিলেন ২০১৩ সালকে, মান্যতা দিয়ে তার থেকেও বেশি অ্যারেজমেন্ট করতে হবে কেন ? তার কারণ হচ্ছে ২০১৩ সালে, বুথের যে সংখ্যা ছিল, এখন বুথের সংখ্যা হয়েছে ৬১ হাজার। তখন বুথের সংখ্যা এত ছিল না। বুথের সংখ্যা অন্তত মিনিমাম কয়েক হাজার বেড়েছে।
দাবি ২
শুভেন্দু বলেন,' দ্বিতীয়ত, ভোটার সংখ্যা, ২০১৩ থেকে ২০২৩ এ, অন্তত এক-দেড় কোটি ভোটার বেড়েছে এই ১০ বছরে।'
দাবি ৩
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন,' তৃতীয়ত ল্য অ্যান্ড অর্ডারের সিচ্যুয়েশন, ২০১৩ সালে যা ছিল, এখন তা খারাপ পরিস্থিতি। ২০১৩ থেকেও ভাল অ্যারেঞ্জমেন্ট করার নির্দেশ ছিল।' বিষয় রয়েছে আরও একাধিক।
দাবি ৪
শুভেন্দু আলোকপাত করে আরও বলেন,' ২০১৩ সালে পরে তিন দফা ছিল, পরে প্যারা মিলিটারি দিতে না পারার জন্য, ওটাকে পাঁচ দফায় করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।'
দাবি ৫
শুভেন্দুর সংযোজন,'এবারে একদফাতে..কোম্পানির সংখ্যাটা ফ্যাক্টর নয়, প্রধানবিচারপতির বেঞ্চ চাইছে, যেটা সুপ্রিম কোর্টও সিলমোহর দিয়েছে, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ভোট।'
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কমিশন। ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি কমিশনের । হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট। গত কয়েকদিন ধরে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিরামহীন আইনি লড়াইয়ের সাক্ষী হয়েছে বাংলা। তবে, কোথাও কোনও সুরাহা পায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার। এরপর গতকালই বাহিনী নিয়ে কমিশনকে কার্যত গাইডলাইন বেঁধে দেয় হাইকোর্ট। বাতিল করে দিল নামমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কমিশনের 'চাল'।
পঞ্চায়েত ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। হাইকোর্টে ভর্ৎসিত হয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। শুধু তাই নয়, রাজ্য়পালও নাকি রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং রিপোর্ট গ্রহণ না করে নবান্নে ফেরত পাঠিয়েছেন। যদিও এদিন সেই দাবি নাকচ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবুও ইতিমধ্যেই ভোটের ভবিষ্যৎ নিয়েও নানা প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। একদিকে রাজ্যপালের এমন পদক্ষেপ, অন্যদিকে হাইকোর্টের ভর্ৎসনা। গোটা পরিস্থিতিকে কী চোখে দেখছেন ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের সময় রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে থাকা মীরা পান্ডে? কৃষ্ণেন্দু অধিকারীকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সেই নিয়েই মুখ খুললেন মীরা পান্ডে।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
যদি রাজ্যপাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং রিপোর্ট গ্রহণ না করেন, যদি কমিশনার পদ খালি হয়ে যায় তাহলে কী হবে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি মীরা পান্ডে। এখনও সেটা হয়নি, মন্তব্য করবেন না বলেন। কিন্তু সাংবিধানিক ভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ছাড়া কী ভোট প্রক্রিয়া চালানো সম্ভব? এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন রাজ্য় নির্বাচন কমিশনার মীরা পান্ডে বলেন, 'এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে সঙ্কট কী হতে পারে? সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, কমিশনার যদি না থাকে ভোট প্রক্রিয়া এগোবে কী করে?' কমিশনার যদি না থাকেন ভোট সম্ভব? তার উত্তরে মীরা পান্ডের বক্তব্য, কমিশনারকে প্রয়োজন। সংবিধান কমিশনারকে এই ক্ষমতা দিয়েছে। নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সব ক্ষমতা কমিশনারের রয়েছে।