Panchayat Election 2023: বোমার শব্দে 'আহত অন্তঃসত্ত্বা', TMC-BJP সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত ময়না
East Midnapore TMC BJP Clash: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের উত্তপ্ত ময়নার বাকচা এলাকা। কী কারণে বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষ ?
বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) আগে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে (TMC BJP Clash) ফের উত্তপ্ত ময়নার বাকচা এলাকা। এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষের (TMC BJP Clash) অভিযোগ। একাধিক ঘর ভাঙচুর এবং বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ।
ময়নার বাকচার ইজমালিচক এলাকার গতকাল রাতে তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষ বাধে। বিভিন্ন বাড়ি ভাঙচুর দোকান লুটপাট। এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা বোমার শব্দে আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। রাস্তার ধারে একাধিক বোমের আঘাতের চিহ্ন ছড়িয়ে ছিটিয়ে বোমের অংশ। তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপিকেই দায়ি করছে। দু পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে দুপক্ষই।
প্রসঙ্গত, মনোনয়ন পর্বে রক্তস্নাত হয়েছে বাংলা। মনোনয়ন পর্ব (Nomination Phase) চলাকালীনও তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষের অভিযোগ উঠেছিল এই পূর্ব মেদিনীপুরেই। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকার দখল নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) ময়নার বাকচায় তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষ (TMC BJP Clash) বেধেছিল। এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগও উঠেছিল। সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন উভয়পক্ষের ২ কর্মী। এরপর ওই ঘটনায় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা।স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোটের আগে এলাকার দখল নিতে নামে শাসক-বিরোধী দুই শিবির। মূলত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় উত্তেজনা ছিল। তারপরেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন তৃণমূল-বিজেপি কর্মীরা।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
মনোনয়নের পর স্ক্রুটিনি পর্বেও কোচবিহারের দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের সাহেবগঞ্জে তুলকালাম শুরু হয়েছিল। তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষ বাধে সেখানেও। নিশীথ প্রামাণিকের গাড়ি লক্ষ্য করে তির ছোড়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সামনেই বোমাবাজি শুরু হয়েছিল। বিজেপির অভিযোগ, দিনহাটা ২ নম্বর ব্লক অফিসে মনোনয়নের স্ক্রুটিনি চলাকালীন পুলিশের সামনেই তাদের প্রার্থীদের মারধর করে বিডিও অফিস থেকে বের করে দিয়েছিল তৃণমূল কর্মীরা। নিশীথ প্রামাণিকের অভিযোগ ছিল, ১৪৪ ধারা অমান্য করে বিডিও অফিসের সামনে তৃণমূল কর্মীরা জড়ো হয়েছিল। সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁকে বিডিও অফিসে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল পুলিশ। পরে র্যাফ নামিয়ে ও লাঠিচার্জ করে বেআইনি জমায়েত হঠানো হয়।