Panchayat Poll Violence: নৌশাদের পর আরাবুল-সওকত! ভাঙড় যেতে বাধা ২ তৃণমূল নেতাকে
South 24 Parganas:রাস্তায় প্রথমে বসে পড়েন সওকত। তাঁর পাশেই বসে পড়েন আরাবুল ইসলাম। তাঁদের ডাকে বাকিরাও রাস্তায় বসে পড়েন।
রঞ্জিত হালদার, ভাঙড়: নৌশাদ সিদ্দিকির পরে এবার ভাঙড় যেতে বাধা আরাবুল ইসলাম এবং সওকত মোল্লাকে। এদিন নিহত তৃণমূলকর্মীর দেহ নিয়ে ভাঙড়ে ঢুকছিলেন আরাবুল-সওকত। ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় আরাবুল-সওকতকে আটকে দেয় পুলিশ। তার প্রতিবাদে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ আরাবুল-সওকতের। গতকাল নিউটাউনে বাধা দেওয়া হয় নওশাদকে।
এদিন ভাঙড় কলেজ মোড়ে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল। নাকা চেকিং চলছিল। সেখানে ভাঙড় ও কাশীপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ওই এলাকায় ছিল।
এদিন ভোগালি ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার নিহত তৃণমূল কর্মীর দেহ ফিরছিল ভাঙড়ে। কলকাতা থেকে ময়নাতদন্তের পরে দেহ ফেরানো হচ্ছিল। তার সঙ্গেই কলকাতা থেকে ফিরছিলেন তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লা এবং তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। ওই নিহত কর্মীর বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল ওই দুই নেতার। কিন্তু ভাঙড় কলেজের সামনেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। বলা হয়েছে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় ভাঙড়ে যাওয়া যাবে না। তা শুনেই পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন সওকত মোল্লা। তারপরেই পুলিশের তরফে সওকত মোল্লাকে প্রশাসনের অর্ডারের কপি দেখানো হয়। কর্মীর বাড়িতে সমবেদনা জানাতে যাচ্ছেন, সেখানে কেন যেতে দেওয়া হবে না। সেই প্রশ্ন করেন সওকত-আরাবুলরা। এরপর গাড়ির সামনে রাস্তায় প্রথমে বসে পড়েন সওকত। তাঁর পাশেই বসে পড়েন আরাবুল ইসলাম। তাঁদের ডাকে বাকিরাও রাস্তায় বসে পড়েন। এই খবর প্রকাশের সময়েও রাস্তায় বসেছিলেন তাঁরা।
এর আগে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে ভাঙড়ে যেতে আটকায় পুলিশ। শুক্রবার তাঁকে আটকানো হয়। ভাঙড়ে নিহত দলীয় কর্মীদের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল নৌশাদের। ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে ভাঙড়ে, সেইকারণেই ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
ভাঙড় থেকে কয়েক কিলোমিটার আগে একটি নাকাপয়েন্ট রয়েছে, সেখানেই আটকে রাখা হয়েছিল নৌশাদের গাড়ি। রাস্তার উপর ব্যারিকেড করেছিল পুলিশ। তৃণমূল এবং পুলিশ মিলে তাঁকে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন নৌশাদ।
ডিসি নিউটাউন জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে ভাঙড়ে। সেই অর্ডার রয়েছে পুলিশের হাতে। সেখানে একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। কাউকে কাউকে ছাড় দেওয়ার নির্দেশও রয়েছে। তাঁদের ছাড়া হচ্ছে। এবিপি আনন্দের প্রশ্নের উত্তরে জেলা পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, সেই তালিকায় ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির নাম নেই। সেইসময় নৌশাদ প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাঁকে না ঢুকতে দিলেও সওকত-আরাবুল ভাঙড়ে ঢুকতে পারছে, জনসভাও করতে পারছে। তারপর শনিবারই ভাঙড়ে যাওয়ার পথে সওকত ও আরাবুলকে আটকানো হয়।
আরও পড়ুন: আদালতের সমালোচনা করায় অভিষেকের সাংসদপদ খারিজের দাবি, স্পিকারকে চিঠি দিলেন সৌমিত্র